তাইজুল ইসলাম: একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী ক্রিকেটার

তাইজুল ইসলাম Taijul Islam বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিনি তার অসাধারণ দক্ষতা এবং কৌশল দিয়ে সবার মন কেড়েছেন। তিনি বামহাতি স্পিনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং তার নিয়মিত সাফল্য বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। বিশেষত, ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ে তার ভূমিকা স্মরণীয়। এক নজরে তাইজুল (Taijul Islam) বিষয় তথ্য নাম তাইজুল ইসলাম জন্ম তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ জন্মস্থান নাটোর, বাংলাদেশ পেশা ক্রিকেটার (বামহাতি স্পিনার) আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট বিশেষ রেকর্ড অভিষেক ওডিআই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা প্রথম ক্রিকেটার টেস্ট ম্যাচ ৪০+ টেস্ট উইকেট ১৫০+ টেস্টে সেরা বোলিং ৮/৩৯ ওডিআই উইকেট ৩০+ পরিবার বিবাহিত, এক পুত্রসন্তান প্রধান অর্জন ২০১৪ সালে বিসিবি বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় পুরস্কার ব্যক্তিগত জীবন সাদামাটা, পরিবারকেন্দ্রিক বিশেষ ভূমিকা ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ফেসবুক লিংক ক্লিক প্রারম্ভিক জীবন ও পরিবার তাইজুল ইসলামের জন্ম ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নটোর জেলায়। তার পরিবার ছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত। তার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ছিল এক অদম্য আগ্রহ। স্কুলের ফাঁকে গ্রামের মাঠে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলা তার বড় হয়ে ওঠার অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তার বড় ভাই তাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন এবং তার ক্রিকেট জীবনের অন্যতম প্রেরণা ছিলেন। শিক্ষাগত জীবন তাইজুল ইসলাম পড়াশোনায় খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও, ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহই তাকে একটি বিশেষ জায়গায় নিয়ে আসে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তবে তার পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের পেছনে ত্যাগ করতে হয়, কারণ তিনি বুঝতে পারেন তার ভবিষ্যৎ ক্রিকেটেই নিহিত। Read More: ক্রিকেট জীবনের শুরু তাইজুল ইসলামের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় স্থানীয় পর্যায় থেকে। নটোর জেলা দলে খেলে তিনি নিজের প্রতিভা দেখান। এরপর তিনি রাজশাহী বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পান। এখানেই তিনি তার স্পিনের জাদু দেখান এবং জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসেন। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার যাত্রা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক এবং সাফল্য তাইজুল ইসলামের টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অভিষেকেই তিনি তার দক্ষতা প্রমাণ করেন এবং প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নেন। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেকেও তিনি হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি একমাত্র ক্রিকেটার যিনি অভিষেক ওডিআই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট জয়। এই জয়ের পেছনে তার অবদান পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো: ক্রিকেট পরিসংখ্যান ও রেকর্ড তাইজুল ইসলাম এখন পর্যন্ত (২০২৪ সাল পর্যন্ত) ৪০-এর অধিক টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৫০-এর বেশি উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৩৯। ওডিআইতে তার উইকেট সংখ্যা ৩০-এর বেশি। তিনি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ রেকর্ডসমূহ: ব্যক্তিগত জীবন তাইজুল ইসলাম ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সাদামাটা। তিনি পরিবারকে সময় দিতে ভালোবাসেন এবং মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পরিবারকে পাশে রেখে তিনি তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সচেষ্ট। সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জ তাইজুলের ক্যারিয়ারে সমালোচনাও কম ছিল না। কখনো পারফরম্যান্সের ওঠানামা, কখনো ইনজুরি তাকে পিছু টেনে ধরেছে। তবে তিনি সবসময় সমালোচনা গঠনমূলকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রমাণ করেছেন। ২০১৯ সালে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে তার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে, যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তবে তিনি তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মিত পারফরম্যান্স দিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। অর্জন ও পুরস্কার বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অবদান তাইজুল ইসলামের স্পিন বোলিং বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি প্রতিবার বল হাতে মাঠে নামেন জয়ের জন্য এবং তার নিয়মিত পারফরম্যান্স দলের মনোবল বাড়ায়। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য তিনি একজন আদর্শ। তার মতো ক্রিকেটারদের জন্যই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করছে। উপসংহার তাইজুল ইসলামের ক্রিকেট জীবন কেবল তার দক্ষতা এবং সাফল্যের গল্প নয়, এটি একটি সংগ্রামেরও গল্প। একজন সাধারণ পরিবারের সন্তান থেকে দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানো নায়ক হয়ে ওঠার যাত্রা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তার নিঃস্বার্থ পরিশ্রম এবং দলের প্রতি তার দায়বদ্ধতা তাকে একজন প্রকৃত কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার আরও বড় অবদান থাকবে, এই আশা নিয়ে তিনি দেশের জন্য খেলতে থাকবেন।

ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: হিন্দু জাগরণ ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু ইসকনের (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা, সমাজসেবক, এবং বাংলাদেশে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য কণ্ঠস্বর। চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিতর্কিত ঘটনার কারণে তিনি গ্রেফতার হন, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একনজরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: বিষয় তথ্য পূর্ণ নাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু পেশা ইসকন নেতা, পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি, আধ্যাত্মিক শিক্ষক জন্মস্থান বাংলাদেশ পরিচিতি ইসকন সংগঠনের অন্যতম নেতা, ধর্ম প্রচারক, হিন্দু জাগরণ আন্দোলনের কণ্ঠস্বর সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) পরিবার পিতা-মাতা: বিস্তারিত তথ্য অজানা; ভাই-বোন: তথ্য অজানা বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত শিক্ষা শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও বৈষ্ণব দর্শনে বিশেষজ্ঞ ধর্মীয় ভূমিকা শ্রীমদ্ভাগবত গীতার শিক্ষা প্রচার, মন্দির প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সমাজসেবা দরিদ্রদের খাদ্য বিতরণ, ত্রাণ কার্যক্রম, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা অবদান হিন্দু সংস্কৃতি পুনর্জাগরণ, ধর্মীয় ঐক্যের প্রচার, বিভিন্ন উৎসব ও রথযাত্রার আয়োজন গ্রেফতারের কারণ ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত হন; অভিযোগ: জাতীয় পতাকার অপমান অভিযোগ জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রতিক্রিয়া ইসকন ও সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ; মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি বর্তমান অবস্থা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখযোগ্য স্থান চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম Youtube channel Link Click ব্যক্তিগত জীবন ও পরিচয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জন্ম বাংলাদেশের একটি ধর্মপরায়ণ বাঙালি পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট হন। তাঁর পিতা-মাতা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য সহজলভ্য না হলেও ধারণা করা হয়, তাঁদের প্রভাবেই তিনি সনাতন ধর্মের প্রতি নিবেদিত জীবনযাপন শুরু করেন। তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ধর্মচর্চা এবং সামাজিক কাজে সক্রিয় থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। তবে তাঁর বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনি মূলত আধ্যাত্মিক সেবায় নিবেদিত জীবনযাপন করেছেন এবং বৈষ্ণব দর্শনকে প্রচারের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেছেন। আরও পড়ুন: শিক্ষাজীবন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশেই সম্পন্ন হয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় গ্রন্থ, যেমন শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, মহাভারত, এবং অন্যান্য হিন্দু শাস্ত্র অধ্যয়ন করতেন। শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বৈষ্ণব দর্শন নিয়ে গভীর গবেষণা করেন। কর্মজীবন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু ইসকনের কর্মী হিসেবে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করেন। শ্রীল প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত ইসকনের নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনি সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসারে মনোনিবেশ করেন। পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করা, মন্দিরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা এবং ভক্তদের আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবনদর্শন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু বিশ্বাস করতেন, মানুষ প্রকৃত সুখ ও শান্তি পেতে পারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা এবং বৈষ্ণব আদর্শের চর্চার মাধ্যমে। তাঁর মতে, ধর্মের মূলে রয়েছে মানবসেবা, সহানুভূতি, এবং সত্যের সাধনা। তিনি বারবার বলেছেন, “আমাদের ধর্মের উদ্দেশ্য একমাত্র ভক্তি, যা মানবজাতিকে ভগবানের সঙ্গে যুক্ত করে। মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়েই প্রকৃত ধর্মের প্রকাশ ঘটে।” ধর্মীয় সেবা ও হিন্দু জাগরণে অবদান ১. মন্দির প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে বিভিন্ন ইসকন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। ২. ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার তিনি শ্রীমদ্ভাগবত গীতার শিক্ষা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেমিনার, কর্মশালা এবং ধর্মীয় আলোচনা আয়োজন করতেন। ৩. সামাজিক কার্যক্রম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম, এবং অসহায়দের সহায়তায় কাজ করেছেন। ৪. হিন্দু সংস্কৃতি সংরক্ষণ জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা, এবং অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে তিনি হিন্দু ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। কেন গ্রেফতার হলেন? ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে “সনাতন জাগরণ মঞ্চ” নামে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ ওঠে, এই সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা জাতীয় পতাকা আইন লঙ্ঘন করেছে। মামলা ও অভিযোগ এই ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়। তবে তিনি দাবি করেছেন যে, এই ঘটনায় তাঁর কোনো সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু, যিনি ইসকনের চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি এবং হিন্দু ধর্মীয় সংগঠক, সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে একটি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। মামলাটি দায়ের করা হয় ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায়। অভিযোগ করা হয়েছে, ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মাঠে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এতে অভিযোগ ওঠে যে এটি দেশের জাতীয় পতাকার মর্যাদার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল। মামলার বিবরণ: প্রভুর বক্তব্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু বলেন, “আমাদের সমাবেশ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকার এবং ধর্মীয় চেতনার প্রচারের জন্য একটি উদ্যোগ ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।” গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারে সনাতন সম্প্রদায় এবং ইসকনের ভক্তদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সবাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে থাকে। সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ইসকনের প্রতিক্রিয়া ইসকনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “এই মামলা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং এটি সনাতন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” তাঁরা তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। ভক্তদের প্রতিক্রিয়া তাঁর গ্রেফতার ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মুক্তির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সাধারণ জনগণের মতামত এটি শুধু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ইস্যু নয়, বরং জাতীয় পতাকার মর্যাদা সংরক্ষণ সম্পর্কেও একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি এবং কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উপসংহার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবনধারা, কর্ম, এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এক অনুপ্রেরণা। যদিও সাম্প্রতিক গ্রেফতারের ঘটনা তাঁকে বিতর্কিত করেছে, তাঁর অবদান এবং কর্মধারা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট: ধর্মীয় নেতা এবং সমাজের নেতাদের কাজ শুধু ধর্মের প্রচারে নয়, বরং জাতীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাও জরুরি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবন থেকে আমরা মানবসেবা এবং আধ্যাত্মিকতাকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার শিক্ষা পাই। তাঁর মুক্তি এবং সঠিক বিচার সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি ও সাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

ঢামেকের ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা । papia akter sorna 2024

(papia akter sorna) পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামের এক নারী নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিলেন। একনজরে papia akter sorna: বিষয় তথ্য পূর্ণ নাম পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর (প্রকাশিত তথ্য অনুসারে) পিতা তথ্য অজানা মাতা তথ্য অজানা ভাইবোন তথ্য অজানা শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই পেশা (কথিত) নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন বাসস্থান তথ্য অজানা অপরাধের ধরন ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণা আটক হওয়ার স্থান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বর্তমান অবস্থা পুলিশের হেফাজতে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার পরিচয় ও কর্মকাণ্ড পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা একজন সাধারণ নারী, যার চিকিৎসা বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। অথচ তিনি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করছিলেন। ঢামেকের পরিবেশে তার আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি, চিকিৎসকের মতো পোশাক এবং আচরণ রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীদেরও বিভ্রান্ত করেছিল। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীদের দেখতেন, প্রেসক্রিপশন দিতেন এবং নিজেকে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে উপস্থাপন করতেন। এই প্রতারণা কৌশল তিনি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: কীভাবে তিনি ধরা পড়লেন এই ঘটনা তখন প্রকাশ্যে আসে যখন হাসপাতালের প্রকৃত চিকিৎসকদের মধ্যে কেউ তার কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার দেওয়া চিকিৎসা পরামর্শ এবং আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, তার কোনো বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই এবং তিনি আসলে চিকিৎসা পেশার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনার প্রভাব পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার কর্মকাণ্ড শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়, বরং পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। রোগীদের নিরাপত্তা: একজন ভুয়া চিকিৎসকের হাতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি রোগীদের মধ্যে ভীতি ও অবিশ্বাস তৈরি করে। হাসপাতালের সুনাম: দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষের আস্থায় আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা পেশার প্রতি আস্থা হ্রাস: চিকিৎসক পেশা সবসময়ই সম্মানের জায়গায় ছিল। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা চিকিৎসা পেশার মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের প্রতারণার সামাজিক কারণ পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার মতো মানুষের কার্যক্রম আমাদের সমাজের কিছু গভীর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। সমাজে প্রতারণার এমন ঘটনা কীভাবে সম্ভব হলো, তার পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে: চিকিৎসা পেশার মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা: চিকিৎসক পেশাকে সামাজিক মর্যাদার শীর্ষে রাখা হয়। ফলে অনেকে সেই মর্যাদা পাওয়ার লোভে প্রতারণার পথ বেছে নেয়। তদারকির অভাব: বড় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর এমন ঘটনা ঘটতে দেয়। রোগীদের অসচেতনতা: সাধারণ মানুষ অনেক সময় চিকিৎসকদের সঠিক যোগ্যতা যাচাই না করেই তাদের কাছে সেবা নিতে বাধ্য হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে করণীয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার ঘটনা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরাপত্তা এবং রোগীদের সুরক্ষার দিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কঠোর তদারকি: সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের যোগ্যতা যাচাই করার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রতিটি চিকিৎসকের পরিচয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ডেটাবেস তৈরি করা উচিত, যা রোগীরা সহজেই যাচাই করতে পারবেন। সচেতনতা বৃদ্ধি: রোগীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে তারা কোনো চিকিৎসকের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহ হলে প্রশ্ন তুলতে পারেন। আইন প্রয়োগ: প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। উপসংহার পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার এই প্রতারণার ঘটনা আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি প্রশাসনিক ত্রুটি এবং সামাজিক অসচেতনতার প্রতিফলন। তবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। চিকিৎসা পেশা মানবসেবার এক পবিত্র অঙ্গন। এ পেশায় শুধুমাত্র যোগ্য এবং সৎ ব্যক্তিরাই যেন কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

বৈভব সূর্যবংশী: ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা । Vaibhav Suryavanshi Rising star of Indian cricket

ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন উজ্জ্বল নাম হলো বৈভব সূর্যবংশী Vaibhav Suryavanshi। তার কঠোর পরিশ্রম, অদম্য মানসিকতা এবং ব্যাট ও বলের প্রতি ভালোবাসা তাকে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের অন্যতম ভরসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একনজরে: তথ্য বিস্তারিত পূর্ণ নাম বৈভব সূর্যবংশী জন্ম তারিখ (উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রকাশিত হয়নি) জন্মস্থান মহারাষ্ট্র, ভারত পিতা নাম জানা নেই (পেশায় কৃষক) মাতা নাম জানা নেই (গৃহিণী) ভাই-বোন তথ্য অপ্রকাশিত পেশা পেশাদার ক্রিকেটার খেলার ধরন অলরাউন্ডার ব্যাটিং শৈলী ডানহাতি বোলিং শৈলী ডানহাতি মিডিয়াম পেস প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ টি-টোয়েন্টি (সাল ও ম্যাচ নির্দিষ্ট নয়) আইপিএল দল নির্দিষ্ট দল জানা যায়নি বেস প্রাইস (আইপিএল) ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি (ধারণা) উল্লেখযোগ্য ইনিংস ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১৩৫* রান প্রিয় শখ বই পড়া এবং সঙ্গীত শোনা লক্ষ্য ভারতকে আরও বড় সাফল্য এনে দেওয়া Facebook Profile Click শৈশব ও প্রাথমিক জীবন মহারাষ্ট্রের একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বৈভব সূর্যবংশীর শৈশব কেটেছে সাদামাটাভাবে। তার পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত, যেখানে বাবা কৃষিকাজ করতেন এবং মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই বৈভব ক্রিকেটের প্রতি গভীর আকর্ষণ দেখান। তার প্রতিভা প্রথম নজরে আসে স্থানীয় স্কুল টুর্নামেন্টে। প্রথম দিকে খুবই সীমিত সুযোগ ছিল তার হাতে। গ্রামের ধুলোমাখা মাঠে কাঠের ব্যাট এবং টেনিস বল দিয়ে তার খেলার শুরু। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি কখনো তাকে দমাতে পারেনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে অনুশীলন করতেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু বৈভবের প্রতিভা প্রথম স্বীকৃতি পায় রাজ্য স্তরের একটি টুর্নামেন্টে। ওই ম্যাচে তার ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। রাজ্য ক্রিকেট দলে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একের পর এক দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের মন জয় করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার প্রথম মৌসুম ছিল অসাধারণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে ব্যাট এবং বল হাতে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। Read More: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক বৈভব সূর্যবংশীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ডেবিউ ম্যাচে তিনি ৩ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্য এবং মানসিক দৃঢ়তা সবাইকে মুগ্ধ করে। এরপর ওয়ানডে এবং টেস্ট দলে তার জায়গা পাকা হয়। তার প্রথম টেস্ট ইনিংসে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং ৩টি উইকেট নেওয়া তাকে একটি পাকা অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি দেয়। সাম্প্রতিক সাফল্য Vaibhav Suryavanshi highlights ২০২৩-২৪ মৌসুমের হাইলাইটস Vaibhav suryavanshi ipl 2025: বৈভবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইনিংসগুলোর মধ্যে একটি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, যেখানে তার অপরাজিত ১৩৫ রান ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়। আইপিএলে তার ১১০ রানের ইনিংস দলকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয়। ভৈবব সূর্যবংশী বেস প্রাইস Vaibhav suryavanshi ipl auction বৈভব সূর্যবংশীর বেস প্রাইস নিয়ে ধারণা করা যেতে পারে তার সাম্প্রতিক আইপিএল নিলামের পারফরম্যান্স এবং চাহিদা বিশ্লেষণ করে। সাধারণত ক্রিকেটারদের বেস প্রাইস নির্ধারণে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম, মাঠে অবদান, অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতে দলে অবদান রাখার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হয়। বৈভব, একজন উদীয়মান এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে, সাম্প্রতিক আইপিএল মৌসুমে বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তার এই সাফল্যকে মাথায় রেখে ধারণা করা যায়, তার বেস প্রাইস ৫০ লাখ থেকে ১ কোটির মধ্যে হতে পারে। তরুণ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য এই মূল্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। যদি বৈভব তার খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন এবং দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হন, তাহলে নিলামে তার দাম আরও বাড়তে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমন খেলোয়াড়দের পেতে অনেক সময় বেস প্রাইসের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতেও প্রস্তুত থাকে। খেলার ধরন ও কৌশল বৈভব সূর্যবংশীর খেলার ধরন অত্যন্ত আধুনিক। তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে পারেন। তার ফুটওয়ার্ক শক্তিশালী, যা তাকে স্পিনারদের বিরুদ্ধে কার্যকর করে তোলে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে বৈভবের সঠিক লাইন-লেংথ এবং সুইং দক্ষতা তাকে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে উভয় ফরম্যাটেই বিপজ্জনক করে তোলে। পাওয়ার-প্লে এবং ডেথ ওভারে তার বোলিং দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের পথচলা যে কোনো ক্রিকেটারের মতোই বৈভবের জীবনেও চ্যালেঞ্জ এসেছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে তার হাঁটুর ইনজুরি তাকে কয়েক মাস মাঠের বাইরে রাখতে বাধ্য করেছিল। তবে তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসেন। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ এবং প্রত্যাশার ভার সামলাতে তিনি মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং ফোকাস তাকে সবসময় এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবন ও শখ বৈভব সূর্যবংশী একজন পরিবারের প্রতি নিবেদিত মানুষ। তিনি তার সাফল্যের জন্য সবসময় তার বাবা-মা এবং কোচের প্রতি কৃতজ্ঞ। খেলাধুলার বাইরে তিনি বই পড়া এবং সঙ্গীত শুনতে ভালোবাসেন। তিনি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও যুক্ত, বিশেষ করে তরুণদের ক্রিকেটে উৎসাহিত করার জন্য একটি একাডেমি চালু করেছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বৈভবের লক্ষ্য ভারতের হয়ে আরও বড় শিরোপা জয় করা। তিনি বিশ্বকাপে সেরা পারফর্মার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তাছাড়া, আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ এবং সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। উপসংহার বৈভব সূর্যবংশীর জীবন এবং ক্যারিয়ার আমাদের শিখিয়ে দেয় যে কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং সঠিক মনোভাব একজনকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তার প্রতিভা এবং মনোভাব ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বৈভব সূর্যবংশী কেবল একটি নাম নয়; এটি প্রতিটি তরুণের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক।

নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার কে ? কেন তাকে এই নামে ডাকা হয় ? Why is Nijhoom Majumder called Harpik Majumdar 2024?

Nijhoom Majumder একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক এবং গবেষক, যিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার পেশাগত দক্ষতার জন্য পরিচিত। তিনি আইন এবং মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। নিঝুম তার লেখনীতে ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেন। একনজরে Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার: পূর্ণ নাম  Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার বিকৃত নাম  হারপিক মজুমদার পিতা  অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার মজুমদার (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী) মাতা  জানা যায়নি স্ত্রী  লিসা সন্তান  পুত্র ইথান এবং কন্যা ফিওনা নিঝুম মজুমদারের শ্বশুর জানা যায়নি জন্ম তারিখ  জানা যায়নি ফেসবুক নাম  Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার বাড়ি  তিনি বাংলাদেশের হলেও বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। পেশা  আইনজীবী, লেখক, গবেষক। উচ্চতা  জানা যায়নি ওজন  জানা যায়নি বয়স  সরাসরি উল্লেখ নেই, তবে মধ্যবয়স্ক বলে ধারণা। ফেসবুক পেজ লিংক  ক্লিক করুন ইনস্টাগ্রাম লিংক  জানা যায়নি ইউটিউব লিংক  জানা যায়নি ওয়েবসাইট লিংক  ক্লিক করুন জিমেইল  nijhoommajumder.fb@gmail.com মোবাইল নং +44 7447 526971 নিঝুম মজুমদার ধর্ম ইসলাম জন্ম এবং শিক্ষাজীবন: নিঝুম মজুমদারের শৈশব কেটেছে একটি শিক্ষিত পরিবারে, যেখানে তার পিতা গোলাম সারওয়ার মজুমদার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখি এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং যুক্তরাজ্যে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। পেশাগত জীবন: নিঝুম মজুমদার একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্ট এবং নিউজিল্যান্ড হাইকোর্টের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। নিঝুম মজুমদার বই: নিঝুম মজুমদার তার লেখনীতে মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তার বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— তার লেখাগুলোতে ঐতিহাসিক সত্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মিলেমিশে একটি সমৃদ্ধ কাঠামো তৈরি করে। Read More: পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবন: নিঝুম মজুমদার ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি। তার স্ত্রী লিসা, পুত্র ইথান এবং কন্যা ফিওনার সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। পরিবারের পাশাপাশি তার পেশাগত এবং সাহিত্যিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষায় তিনি প্রশংসিত। প্রভাব এবং অবদান: নিঝুম মজুমদারের বই এবং গবেষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার কাজগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঠিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চিত্র উপস্থাপন করেছে। নিঝুম মজুমদারকে হারপিক মজুমদার কেন বলা হয়: নিঝুম মজুমদারকে “হারপিক মজুমদার” নামে ডাকার কারণ বেশ কয়েকটি। মূলত, এটি একটি উপহাসমূলক নাম, যা তার কিছু বিতর্কিত মন্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি ধর্ম, সমাজ, এবং রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়েছেন এবং সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ১. ধর্মীয় বিতর্ক ও সমালোচনা: নিঝুম মজুমদার বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা অনেকের কাছে আপত্তিজনক এবং কটূক্তিমূলক মনে হয়েছে। বিশেষ করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য তিনি সমালোচিত হন। এটি একটি বড় কারণ, যার জন্য তাকে বিদ্রূপ করে এই নাম দেওয়া হয়। ২. বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ: তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে মতামত দেন। এ ধরনের মতামত প্রায়ই বিতর্ক সৃষ্টি করে। এর ফলে অনেকে মনে করেন, তিনি শুধু আলোচনায় থাকার জন্য বিভিন্ন ইস্যুতে “নাক গলান”। ৩. হারপিক উপমা: “হারপিক মজুমদার” নামটি তার সমালোচকদের দেওয়া, যা একটি পরিচ্ছন্নতার পণ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে। সমালোচকরা বোঝাতে চান যে তিনি বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনাকে “পরিষ্কার” করার চেষ্টা করেন, কিন্তু এটি প্রায়শই উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। উপসংহার: নিঝুম মজুমদার একজন প্রখ্যাত আইনজীবী, লেখক এবং গবেষক, যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাস করছেন এবং তার পিতার মতো আইনজীবী পেশায় সফল। তার লেখনী এবং পেশাগত জীবন বাংলাদেশের সমাজ ও আইন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। নিঝুম মজুমদারের কাজ বিশ্বব্যাপী তার চিন্তা-ভাবনা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করছে।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের জীবনী- সফলতা, অবদান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা । Biography of Bangladesh Football Federation (BAFF) President Tabith Awal 2024

তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal)

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal)। কে তিনি ? কি তার পরিচয় ? পিতা, মাতা, শিক্ষাজীবন, বিবাহিত জীবন, রাজনৈতিক দর্শন ? সবকিছু একসাথে চলুন জেনে নিই.. একনজরে তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal): পূর্ণ নাম বা তাবিথ আউয়াল কে  তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল (Tabith Mohammed Awal) ডাকনাম  তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal) পিতা  আবদুল আউয়াল মিন্টু মাতা  নাসরীন ফাতেমা আউয়াল স্ত্রী  জানা যায়নি সন্তান  জানা যায়নি জন্ম তারিখ  ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক নাম  Tabith Awal বাড়ি  চকবাজার, ঢাকা পেশা  রাজনীতিবীদ উচ্চতা  ৬ ফুট+ ওজন  ৭৫ কেজি+ বয়স  ৪৫ বছর+ ফেসবুক পেজ লিংক  ক্লিক ইনস্টাগ্রাম লিংক  ক্লিক ইউটিউব লিংক  ক্লিক ওয়েবসাইট লিংক  ক্লিক জিমেইল adommodhk@gmail.comtabithawal2015@gmail.com তাবিথ আউয়াল এর পরিচয় প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা তাবিথ আউয়াল ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, আবদুল আউয়াল মিন্টু, একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী, এবং মা, নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী। তাবিথ ঢাকায় শৈশব কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবন ও উদ্যোগ দেশে ফিরে তাবিথ আউয়াল ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সাফল্যের জন্য তিনি সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং আইপে নামে দেশের প্রথম ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। নতুন ধরনের বীজ উৎপাদন ও গবেষণায় অবদান রাখার পাশাপাশি ২০১১ সালে তিনি পশুপালন শিল্পে যুক্ত হন এবং ২০১৪ সালে ভোলার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন। রাজনৈতিক জীবন তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ২০১৫ ও ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হন। শহরের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন জনসেবাকে মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরে রাখে। তাবিথ মনে করেন, দেশের উন্নতি ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি একটি কার্যকরী মাধ্যম। Read More: ব্যবসায়িক কার্যক্রম তাবিথ আউয়াল মাল্টিমোড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, যা দেশের বিভিন্ন শিল্পে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে গ্রুপটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাবিথ ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সফলতা অর্জনের জন্য সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি দেশের প্রথম ওয়্যারলেস যোগাযোগ সংস্থা ও ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম, আইপে, চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরিচালন দক্ষতার মাধ্যমে তাবিথ বাংলাদেশের শিল্প খাতকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান পদেও কর্মরত ছিলেন। ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ফুটবলপ্রেমী তাবিথ আউয়াল খেলার জগতে এক বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছেন। ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তাবিথ ফেনী সকার ক্লাবের মালিক ছিলেন এবং বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিশ্বাস, ফুটবল যুবসমাজকে উৎসাহিত করে এবং তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পথ তৈরি করে। সমাজসেবা ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় তাবিথ আউয়াল সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নতিতে তাঁর প্রচেষ্টা তাঁকে দেশের একজন নিবেদিত মানবতাবাদী হিসেবে পরিচিত করেছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, যা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান আরো বিস্তৃত করতে চান। ব্যবসা, রাজনীতি, ও সমাজসেবা—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং দেশের মানুষকে উন্নত জীবন নিশ্চিত করা, যার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। সম্মাননা দেশের ব্যবসা, রাজনীতি, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তাবিথ আউয়াল বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। উপসংহার: তাবিথ আউয়াল একজন সফল ব্যবসায়ী, সচেতন রাজনীতিক এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিশিষ্ট একজন ব্যক্তিত্ব। মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে শিল্পখাতে পরিবর্তন আনা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে জনগণের সেবা করা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তায় অবিচল থাকার মাধ্যমে তিনি নিজেকে সৎ এবং সফল এক নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাঁর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিচ্ছবি।

তাপসী তাবাসসুম উর্মি । tapashee tabassum urmi । কে ? রাজনৈতিক পরিচয়? ঠিকানা? মোবাইল নং ? ইমেইল ?

তাপসী তাবাসসুম উর্মি । tapashee tabassum urmi । কে ? রাজনৈতিক পরিচয়? ঠিকানা? মোবাইল নং ? ইমেইল ?

সম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন ড. মো: ইউনুস সরকার কে নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদ হতে সরিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয়েছে তাপসী তাবাসসুম উর্মি (tapashee tabassum urmi) নামে একজন মহিলা বিসিএস কর্মকর্তাকে। চলুন জেনে নিই তাপসী তাবাসসুম উর্মি । tapashee tabassum urmi । কে ? কি তার রাজনৈতিক পরিচয়? ঠিকানা কি? মোবাইল নং ? ইমেইল ? সহ আরও বিস্তারিত…. তাপসী তাবাসসুম উর্মি (tapashee tabassum urmi) ছবি: একনজরে: পূর্ণ নাম  তাপসী তাবাসসুম উর্মি (tapashee tabassum urmi) পদের নাম  সহকারী কমিশনার (জে এম শাখা, ট্রেজারী শাখা) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। দায়িত্বরত জেলা  লালমনিরহাট বিসিএস ব্যাচ  ৪০ মোবাইল নং  ০১৭৯৮৮৫৫৩৩৭ ইমেইল  tapashee.tabassum@gmail.com ঠিকানা  জানা যায়নি ফেসবুক লিংক  ক্লিক করুন রাজনৈতি পরিচয় আওয়ামীলীগ কেন তাপসী কে ওএসডি করা হল ? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করেন উর্মি। তিনি পোষ্টে লিখেন: “সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ সরকারী কর্মকর্তাদের ওএসডি অর্থ কি ? ওএসডি বলতে দায়িত্ব হীন কর্মকর্তাকে বুঝানো হয়, তিনি হতে পারেন কোন পদায়নের জন্য অপেক্ষমাণ বা অপরাধের দায়ে বহিষ্কৃত বা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। এ ধরনের কর্মকর্তাদের সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিদিন হাজির দিয়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় বসে দাপ্তরিক সময় পার করত হয়। কর্মকর্তারা বেতন, ভাতা, গাড়িসহ সব ধরনের সরকারি সুবিধাই পান। পান না শুধু দায়িত্ব। তাই তাদের অফিসের নির্দিষ্ট সময়ে সচিবালয়ে এসে হাজিরা দিতে হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এদের বসতে হয় লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিই তাদের অফিস কক্ষ। কেউ যদি কোনও ওএসডি কর্মকর্তাকে খুঁজতে সচিবালয়ে আসেন তাহলে তাকে সচিবালয়ের লাইব্রেরিতে আসতে হবে, বা কোনও ক্যান্টিনে। যা একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার জন্য খুবই লজ্জা ও অপমানের। আরও পড়ুন: মেজিস্ট্রেট উর্মি পোষ্ট করে কোন আইন অমান্য করলেন ? সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে। তাপসী উর্মির রাজনৈতিক পরিচয়? সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি (tapashee tabassum urmi) এর ফেসবুক ও বিভিন্ন প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার খবর থেকে জানা যায় তিনি আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। তার ফেসবুক আইডিতে এরকম বহু ছবি রয়েছে যাতে প্রতীয়মান হয় তার রাজনৈতিক মতাদর্শ। আলোচিত পোষ্ট ছাড়াও তিনি অন্তবর্তী সরকার বিরোধী আরও বহু পোষ্ট করেন বলে জানা যায়। বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন উর্মি: এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ঊর্মি বলেন, আমি যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে না-ও থাকতাম, আমি সেইম কথাটা বলতাম।…আমি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি হতে পারবো না। এটা সম্ভব না। যখন যেই গভর্নমেন্ট আসবে, দুই ধরনের কন্ট্রাডিক্টরি কথা বলবে, একজন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলবে, আরেকজন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আমি হ্যাঁ হ্যাঁ করবো, এটা হিপোক্রেসি। দুইটা কন্ট্রাডিক্টরি মতে একমত পোষণ করা, এটা হিপোক্রেসি।  নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি উল্লেখ করে উর্মি বলেন, আমি যদি দেখি কেউ মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলতে চায়, আমি তার বিপক্ষে কথা বলবো।   কীভাবে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এমন মন্তব্য করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যখন দেখবো, আমার দেশের ওপর কোনো থ্রেট চলে আসছে, দেশকে বাঁচানোর জন্য আমার যতটুকু বলা উচিত, সেই বলাটাই আমার দায়িত্বশীলতা। আমি ফ্র্যাংকলি বলি, আমি চাই না আমার দেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আসুক। আমার যাকে মনে হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি। আমি তাদেরকে সেভাবেই ট্রিট করেছি এবং সেভাবেই পোস্ট দিয়েছি। উর্মি আরও বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের ওপর। ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের দেশটা স্বাধীন হয়েছে। রিসেট বাটন পুশ করলে কি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ফিরে আসবে? চেতনা বিক্রি, ‘গণহত্যা’ এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষ। এগুলো তো প্রুভ্ড না। কিন্তু যেটা মীমাংসিত সত্য, সেটাকে তো কেউ মুছে ফেলতে পারে না।