রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ নিয়ে কিভাবে জাতীয় সঙ্গীত লিখলেন? জাতীয় সঙ্গীতের মা শব্দটি কালী/দূর্গা কিনা? How did Rabindranath write the national anthem of Bangladesh? Is the word maa means Kali/Durga of the national anthem?

বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত বিষয় হল বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন। এ বিষয়ে উপরের দুটি প্রশ্ন একবার হলেও কারো না কারো মাথায় এসেছে হয়ত। অনেকে এর উত্তরও হয়ত খুঁজেছেন। কিন্তু সময় না পাওয়ায় হয়ত ঘেঁটে দেখতে পারে নাই। চলুন দেখে নিন উত্তরসমূহ: ১। প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু ১৯৪১ সালে আর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। তাহলে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ নিয়ে কিভাবে জাতীয় সঙ্গীত লিখলেন? উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে আমার সোনার বাংলা গানটি লিখেছিলেন। যা বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লিখেছিলেন। যারা বঙ্গভঙ্গ বোঝেন না তাদের জন্য: বঙ্গভঙ্গ মানে হল ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন বঙ্গ/বাংলা বা ভাষাভাষী লোক বসবাসরত যে বিশাল অংশ তা ব্রিটিশদের পক্ষে শাসন করা দূরুহ হয়ে পড়েছিল। তাই ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গ করে বা বাংলাকে দুভাগ করে। একটা করে পূর্ব বাংলা, অন্যটি পশ্চিম বাংলা। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এতে ব্যথিত হন। সংস্কৃতিগত ভাবে বাংলার মাঝে সীমানা প্রাচীর উঠবে এটা উনি চাননি। এর কারণ সংস্কৃতিগত বা তার জমিদারীগত হতে পারে। এই বঙ্গভঙ্গের জন্য ব্যথার প্রকাশ ঘটে তার “আমার সোনার বাংলা” গানে। সেখানে তিনি সমস্ত বাংলার রূপ বৈচিত্র, সৌন্দর্য তুলে ধরেন সাথে বাংলা/বঙ্গ ভুমিকে “মা” সম্বোধন করেন। তিনি এটা বোঝাতে চান, যে বাংলা/বঙ্গ ভূমি যদি আমাদের মা হয়, আমরা তার সন্তান। বঙ্গভঙ্গ হল মাকে ভাগ করা, মায়ের বুকের উপরে সীমানা প্রাচীর তোলার সমান।  আরো পড়ুন: ২। জাতীয় সঙ্গীতের মা শব্দটি কালী/দূর্গা কিনা? উত্তর: এখানে মা মানে কখনই মা কালী/দূর্গা নয়। কারণ গানে উল্লিখিত- “ওমা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে ওমা অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি, মধুর হাসি।” গোটা গান বাদে যদি এতটুকুরও অর্থ বুঝতে চাই দেখা যাচ্ছে- যখন আম পাকে, পাকা আমের গন্ধে কবির মন পাগল হয়। অঘ্রাণ মাসের ক্ষেত ভরা ধান দেখে, ধানের মিষ্টি গন্ধে কবির মন ব্যকুল হয়। এখানে মা কালী/দূর্গা কৈ? তাদের নিয়ে লিখা রবীন্দ্রনাথের অজস্র গান আছে। বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে তার কালী/দূর্গা ভক্তি জাগ্রত হয়নি। হলে তিনি শ্যামা বা দূর্গাকে নিয়ে প্রার্থনা সঙ্গীত লিখতেন। অন্যভাবে বলতে গেলে যখন আমরা আমাদের জন্মদেওয়া মা বাদে খালাম্মা, চাচিআম্মা, ফফু আম্মা, বড়আম্মা বা কাকিমা, বড়মা, মাসিমা, পিসিমা দের সাথে মা শব্দটি লাগাই তাদেরকে আমরা আপন মায়ের চোখে দেখি, এতে তাদের সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন আরো দৃঢ় হয়।  তেমনি বাংলাভূমিকে যখন মা ভাবা হয় তখন তার সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। তাহলে এটাও পরিস্কার তিনি বাংলাদেশ কে নিয়ে এই গান লিখেন নি, তিনি লিখেছিলেন পুরো বাংলা/বঙ্গ ভূমিকে নিয়ে। কারণ তখনও বাংলাদেশ নামক কোন ভূখন্ডের জন্ম হয়নি। পরবর্তীতে যখন বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় তার সতন্ত্র বহুকিছুর প্রয়োজন পড়ে। যার মধ্যে জাতীয় সঙ্গীত একটি।  উপসংহার: বাংলাদেশের তৎকালীন নীতি নির্ধারকগণ তখন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিখা “আমার সোনার বাংলা” গানটির প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন। কারণ, বাংলাদেশ শব্দের প্রথমে আছে বাংলা, আর এই গানে বাংলার যে রূপ বর্ণিত হয়েছে তা বাংলাদেশ এর ঋতুবৈচিত্র ও সৌন্দর্যের সাথে পুরোপুরি মিলে যায় বা সঙ্গতিপূর্ণ।

Shivdham Kolkata Exposed?। শিবধাম কোলকাতার গোমর ফাঁস ? জানুন বিস্তারিত..

শিবধাম কোলকাতার গোমর ফাঁস হয়েছে (Shivdham Kolkata Exposed) ? দুজন সেবায়েত স্বরুপ চ্যাটার্জি ও গৌরব কর শিবধাম ছেড়েছেন এবং ইউটিউব লাইভের মাধ্যমে মানুষকে শিবধামে যেতে নিষেধ করছেন। চলুন দেখে নিই ঘটনা কি ? শর্মিষ্ঠা শিবধামের পক্ষে বললেন ও বাবাই বসাকের পর্দা ফাঁস করলেন: এই লিঙ্কে গিয়ে দেখুন শিবধামের পক্ষে উপকারভোগী ভক্তদের মন্তব্য শুনুন: এই লিংকে ক্লিক করুন স্বরুপ চ্যাটার্জি কেন শিবধাম (Shivdham Kolkata Exposed) ছাড়লেন ? স্বরুপ চ্যাটার্জি এর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল এ লাইভে এসে তিনি কেন শিবধাম ছাড়লেন, সেখানে কি কি অনিয়ম হয়, তার কি কি আরো সমস্যা বেড়েছে, কেন তিনি শিবধামের বিপক্ষে কথা বলছেন তা পরিস্কার করেছেন। ভিডিও ০১ ভিডিও ০২ ভিডিও ০৩ আরো পড়ুন গৌরব কর কেন শিবধাম ছাড়লেন ? গৌরব কর যিনিও শিবধামের একজন সক্রিয় সেবায়েত ছিলেন, তার ভাষ্য মতে তিনি শিবধাম থেকে পালিয়ে বাগেশ্বর ধামে গিয়ে শিবধামের আসল বিষয় জানতে পারেন। তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওর মাধ্যমে তিনি বলেন, শিবধামে নাকি ভুত প্রেত নিয়ে সাধনা করা হয়। সেখানকার যে কবচ/মাদুলি/শঙ্খগুলি/জমিবন্ধন প্রভৃতি দেওয়া হয় সবকিছুতে প্রেত চালনা করা থাকে। তিনি আরও বলেন, শিবধামের যে মন্ত্র দেওয়া হয় “ঔ নম: শিবায় শক্তিরূপে গুরুপীরানন্দম নম: ওম” এই মন্ত্র পাঠ করলে আপনার পূজার সব ফল নাকি শিবধামের গুরু লাভ করেন। “শক্তিরূপে গুরুপীরানন্দম নম: ওম” এই অংশটুকু পাঠের কারণে সব ফল শিবধামের গুরুদেব সৌরভ পীরানন্দম লাভ করেন। গৌরব কর বলেন, শিবধামে বশীকরণও করা হয়। সেখানে অনেক টাকার বিনিময়ে ভক্তদের এ্যাপয়েনমেন্ট দেওয়া হয়। এছাড়াও ধুপ, তেল ইত্যাদি পূজা সামগ্রী বিক্রির ব্যবসা করা হয়। তিনি শিবধামের গুরুদেব কে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে গরুনন্দ বলেন। ভিডিও ০১ ভিডিও ০২ ভিডিও ০২ বাবাই বসাক কেন শিবধাম ছাড়লেন? বাবাই বসাকের ভিডিও দেখুন। এই লিঙ্কে ক্লিক করুন তরুণ চক্রবর্তী কেন শিবধাম ছাড়লেন? তরুণ চক্রবর্তীর ভিডিও দেখুন উপসংহার: উপরোক্ত ভিডিও দেখে, বুঝে, শুনে, নিজ দায়িত্বে শিবধামে যান। সেবা নিন।

How to register upension 2024 ? । সর্বজনীন পেনশনে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন ?

সর্বজনীন পেনশন upension ওবেসাইটে গিয়ে নীচে ছবিসহ তথ্য দেখে দেখে খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশন করুন সর্বজনীন পেনশন স্কিমে। তাহলে চলুন দেখে নিই। প্রথম ধাপ For upension: প্রথমে আপনার মোবাইল/কম্পিউটারের যেকোন একটি ব্রাউজারের এ্যড্রেসবারে গিয়ে লিখুন https://www.upension.gov.bd/ বা এখানে ক্লিক করে সর্বজনীন পেনশন এর সরকারী ওয়েবসাইটে যান। তারপর পেনশনার রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করুন। দ্বিতীয় ধাপ: এরপর আপনার সামনে নীচের ছবির মত একটি অপশন আসবে। যেখানে লিখা থাকবে আমি সম্মত আছি। আপনাকে আমি সম্মত আছি তে ক্লিক করতে হবে। আরো পড়ুন: তৃতীয় ধাপ: এরপর আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে আপনি কোন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন তা জানতে চাইবে। সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নং/এনআইডি নং, জন্মতারিখ, মোবাইল নং, ইমেইল এসব তথ্য নির্ভুলভাবে লিখতে হবে। এরপর ক্যাপচা প্রদান করুন অপশনে উপরের AbcDEF12 লিখাগুলো যেরকম আসবে ঠিক বড় হাতের/ছোট হাতের সেভাবেই লিখে পরবর্তী পেইজ লিখাতে ক্লিক করতে হবে। চতুর্থ ধাপ: এবারে আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যসমুহ যেমন: এনআইডি নং, আবেদনকারীরর নাম, জন্ম তারিখ, আবেদনকারীর নাম (ইংরেজীতে), মোবাইল নং, পিতার নাম, বার্ষিক আয়, মাতার নাম, পেশা নির্বাচন, বসবাসরত দেশ (আপনি বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন, যারা প্রবাসে থাকেন তারা তাদের নিজ নিজ দেশ সিলেক্ট করুন), এরপর বিভাগ, জেলা, উপজেলা নিভুলভাবে নির্বাচন করতে হবে। সব পূরণ করা হলে পরবর্তী লিখার উপরে ক্লিক করে পরের অপশনে যান পঞ্চম ধাপ: এই ধাপে আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে আপনাকে স্কিমের তথ্য বসাতে হবে। আপনার স্কিম নির্বাচন করুন। এখানে প্রগতি সিলেক্ট করা আছে। আপনার যে স্কিম আপনি সেটা সিলেক্ট করুন। এরপর মাসিক চাঁদার পরিমাণের পাশের ছোট্ট গোল ০ ঘরে ক্লিক করে কত টাকা তা সিলেক্ট করবেন। এরপর চাঁদা পরিশোধের ধরণের পাশের ছোট্ট গোল ০ ঘরে ক্লিক করে প্রতিমাসে বা মাসিক/০৩ মাস পর পর বা ত্রৈমাসিক/০১ বৎসর পর পর বা বাৎসরিক যেভাবে টাকা দিলে আপনার সুবিধা সেটা সিলেক্ট করে পরবর্তী লেখার উপরে ক্লিক করে ব্যাংক তথ্য পেজ এ যান.. ষষ্ঠ ধাপ: ব্যাংক তথ্য পেজ এ আসলে আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম মানে আপনার নামে বা যার নামে হিসাব খোলা আছে সে নাম বসাতে হবে। এরপর ব্যাংক একাউন্ট নং, হিসাবের ধরণ মানে চলতি হিসাব না সঞ্চয়ী হিসাব নাকি অন্য তা নির্বাচন করতে হবে। রাউটিং নং এর স্থানে আপনার একউন্টটি যে ব্যাংকে সেটার রাউটিং নং লিখতে হবে। যদি রাউটিং নং কি তা জানা না থাকে তাহলে Search অপশনে আপনার ব্যাংকের নাম লিখে যে শাখায় আপনার একাউন্ট তার রাউটিং নং বের করতে পারবেন। এরপর কোন ব্যাংকের কোন শাখায় আপনার একাউন্ট তা লিখুন। এরপর পরবর্তী লেখাতে ক্লিক করে নমিনি তথ্য পেজ এ যান। সপ্তম ধাপ: নমিনি তথ্য পেজ এ আসলে আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। নমিনি মানে আপনার অবর্তমানে আপনার পেনশনের মালিক যিনি হবেন। আপনি আপনার সদ্যজাত সন্তানকেও নমিনি করতে পারেন তবে তার জন্মনিবন্ধন আবশ্যক। এছাড়াও আপনি আপনার আপনজন যেকাওকে নমিনি করতে পারেন। এটা যেকোন সময় আবার পরিবর্তনও করতে পারবেন। নমিনির আইডির ধরণে নমিনি যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র সিলেক্ট করুন। যদি ১৮ বছরের নীচে হয় জন্মনিবন্ধন সিলেক্ট করুন। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নম্বর নিভূলভাবে বসান। এরপর আবারও বসান। এরপর জন্ম তারিখ লিখুন। অবশ্যই জন্ম তারিখের মাঝথানে (-) হাইফেন চিহ্ণ দিয়ে ধরুন (12-12-12) এভাবে নিভূলভাবে লিখে নমিনির নাম লিখুন। এরপর নমিনি যুক্ত করুন অপশনে ক্লিক করুন। অষ্টম ধাপ: এবারে নীচের ছবির মত আসবে। যেখানে আপনার নমিনির নাম ও তথ্য যেমন: নাম, এনআইডিনং, জন্ম তারিখ অটো বসে যাবে। আপনাকে নমিনির মোবাইল নং লিখতে হবে। নমিনি সম্পর্কে আপনার যা হয় তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপর নমিনির প্রাপ্যতার হার অপশনে যদি আপনার একটি নমিনি হয় তাহলে ১০০% আর যদি একাধিক হয় তাহলে আপনার মনমত কাকে কতভাগ দিবেন তা লিখে দিন। ধরুন আপনার নমিনি দুজন করলেন সেক্ষেত্রে ৫০%+৫০% বা ৬০%+৪০% বা ৭০%+৩০% যেভাবে আপনার খুশি ভাগ করে দিলেন। নবম ধাপ: এবারে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে আপনার সম্পূর্ণ ফরম দেখাবে। এখানে আপনি আপনার সকল তথ্য, নামের বানান, এনআইডি নম্বর, মোবাইল নং সব আরেকবার মিলিয়ে দেখে নিয়ে সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোড করে নিন। দশম ধাপ: ডাউনলোড হলে নীচের ছবির মত আমি নিশ্চত করছি যে লিখার আগের ঘরে টিক চিহ্ণ দিয়ে সম্মতি প্রদান করে আবেদন সম্পন্ন করুন অপশনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করুন। একাদশ তম ধাপ: এবারে আপনার সামনে নীচের ছবির মত অপশন আসবে। যেখানে উল্লিখিত ০৪ টি ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে/মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন। টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই আপনার ট্রাঞ্জেকশন আইডি/ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত অনলাইন কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি/সফ্ট কপি ভবিষ্যতের জন্য সেভ করে রাখুন। আশা করি উক্ত আর্টিকেলটি আপনাদের একটু হলেও কাজে এসেছে। যদি আপনার উপকারে আসে দয়া করে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

ফ্রিল্যান্সিং(freelancing) কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ? কি শিখব ? কতদিন সময় লাগবে ? এটি ফুলটাইম নাকি পার্টটাইম? শুরুর আগে পড়ুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

freelancing

ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, কি শিখব, কতদিন সময় লাগবে, এটি ফুলটাইম নাকি পার্টটাইম, freelancing, freelance, outsourcing, marketplace, skill, কিভাবে স্কিল নির্ধারণ করবেন, ফ্রিল্যান্সিং কি বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ ফ্রিল্যান্সিং। সাধারণত এটি মানে আমরা বুঝি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করা। কিন্তু আসলে ফ্রিল্যান্সিং মানে কিন্তু শুধু ইন্টারনেটে কাজ করা ? আসলে তা না । মূলত কারো অধীনে স্বল্পমেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা যায়। ধরুন আপনি একটি স্কিল জানেন। সেটা হতে পারে কৃষিকাজ বা অন্য কোন কাজ। আপনি যখন বিভিন্ন লোকের সাথে বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করেন তাই আসলে ফ্রিল্যান্সিং। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলে ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে আরেকটা শব্দ যুক্ত হয় তার নাম আউটসোর্সিং। অনেকে ভেবে থাকেন এ শব্দ দুটো একই। কিন্তু আসলে যিনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করেন তিনি ফ্রিল্যান্সার আর যিনি কাজ করিয়ে নেন তিনি আউটসোর্স করেন। অর্থাৎ আমি যদি আপনাকে কোন কাজ দিই সেটা আমি আপনাকে দিয়ে আউটসোর্স করাচ্ছি আর আপনি করছেন মানে আপনি ফ্রিল্যান্স করছেন। বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। উন্নত দেশে বর্তমানে কম্পিউটার বিষয়ক অনেক কাজের রেট বেশি। ধরুন একটি ওয়েবসাইট বানাতে আমেরিকায় ৫০০ ডলার লাগে। কিন্তু অন্য দেশে ঐ একই কাজ ১৫০ ডলারে কেও করে দেয়। তখন উন্নত দেশের লোকেরা যেসব দেশে কম দামে মানুষ কাজ করে তাদের সাথে চুক্তি করে কাজটি করিয়ে নেয়। এই কাজ করিয়ে নেওয়াটা আউটসোর্সিং আর যারা কাজ করে দিচ্ছে তারা ফ্রিল্যান্স করছে। মার্কেটপ্লেস: আউটসোর্স ও ফ্রিল্যান্স এ দুটোর মধ্যে আরেকটা বিষয় আসে আর তা হল মার্কেটপ্লেস। মার্কেটপ্লেস হল সেই জায়গা যেখানে আউটসোর্সার ও ফ্রিল্যান্সার একে অপরের দেখা পায়। যোগাযোগ করতে পারে। অর্থের বিনিময় করতে পারে। ধরুন আপনি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। এ বিষয়টা আমেরিকার লোক কিভাবে জানবে ? বা আমেরিকার একটা লোক ওয়েবসাইট বানাবে সেটা আপনিই বা কিকরে জানবেন তাইনা ? আবার আপনি যে লোকটার থেকে কাজের বিনিময়ে টাকা নিবেন সেটা কিভাবে নিবেন ? বা আপনি যে লোকটার কাজ ঠিকভাবে করে দিবেন কিনা সে গ্যারান্টি সে কিভাবে পাবে ? এসব প্রশ্নেরই উত্তর দেয় মার্কেটপ্লেস। এটি হল বাজারের মত। যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনমত দোকান খুঁজে নিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনেন। মার্কেটপ্লেসে যারা কাজ দেয় তাদের বলা হয় বায়ার বা ক্রেতা। আর যারা কাজ করে তাদের বলে সেলার বা বিক্রেতা। দুপক্ষেরই এখানে একাউন্ট থাকে। এখানে সবাই প্রয়োজনমত সবাইকে খুঁজে নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে। মার্কেটপ্লেস সেলারের থেকে কাজ বুঝে নেয় ও বায়ারের থেকে অর্থ বুঝে নিয়ে সেলারকে প্রদান করে ও নিজে কিছু কমিশন কেটে রাখে। যা মার্কেটপ্লেসের ইনকাম। বহুল প্রচলিত কিছু মার্কেটপ্লেস লিংক.. ফাইভার, আপওয়ার্ক, পিপলস পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে শেখা যেতে পারে। কোন বড়ভাই/বোনের থেকে শেখা যেতে পারে। আবার গুগোল ও ইউটিউব থেকেও শেখা যেতে পারে। যারা নতুন শিখতে আসে তাদের ‍মুলত শেখার পেছনে সেভাবে অর্থ ব্যয় করার ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ নতুন শিক্ষার্থী গুগোল ও ইউটিউবকেই শেখার জায়গা হিসেবে বেছে নেন। গুগোল ও ইউটিউবে বিভিন্ন স্কিলের উপর টিউটোরিয়াল থাকে। যা দেখে ও পড়ে শেখা সম্ভব। আরো পড়ুন কোন স্কিল শিখবেন: ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবথেকে ‍গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এটি। যার উত্তর পাওয়া ‍খুব কঠিন। যার উত্তর কেও আপনাকে বলে দেয়না। যা আপনাকে খুঁজে নিতে জানতে হবে। বিশ্বের বহু মানুষ বহু কাজ করিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে। যার মধ্যে কঠিন, সহজ দুই স্কিলই আছে। ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে গেলে আপনাকে নিজের জন্য যোগ্য ও বাজারে কাজ আছে এমন স্কিল খুঁজে নিয়ে সেটা শিখতে শুরু করতে হবে। এমন একটি ফিল্ড খুঁজে বের করতে হবে যেখানে লোকজন কম, বাজারে সে কাজের দাম আছে ও যা শেখা মোটামুটি সহজ। কারণ কোন স্কিল শিখতে যদি বেশিদিন লাগে তাহলে সে স্কিল মার্কেটআউট হবার সম্ভাবনা থাকে। তখন আর সেটাতে কাজ পাওয়া যায়না। কিভাবে স্কিল নির্ধারণ করবেন ও শিখবেন: এক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসই আপনাকে সাহায্য করবে । আপনার কাজ হবে যেকোন একটি মার্কেটপ্লেস রিসার্চ করা। কিভাবে রিসার্চ করবেন তাইতো ? ধরুন আপনি ফাইভার.কম এ কাজ করবেন। আপনাকে আগে মার্কেটপ্লেসে গিয়ে দেখতে হবে কোন বিষয়ে মানুষ কাজ বেশি করছে ? কোন কাজটি বায়ার বেশি করিয়ে নিচ্ছে। প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসে কাজের ক্যাটাগরি থাকে। আপনাকে সময় নিয়ে একটি একটি করে ক্যাটাগরি দেখে দেখে, সেখানে কেমন কাজ পাচ্ছে সবাই তা দেখে, সে স্কিলটি আপনি শিখতে পারবেন কিনা তা নির্ধারণ করে তবেই শিখতে শুরু করা উচিত। একটি স্কিল নির্ধারণ করে সে স্কিলে এক্সপার্ট না হওয়া পর্যন্ত কাজে আসা উচিত না। এক্সপার্ট হয়েছেন তখনই বুঝবেন যখন আপনি ঐ বিষয়ক কোন সমস্যা কম্পিউটারে না বসেই একরকম মুখস্ত সমাধান বলতে পারবেন। আপনার চোখের সামনে ভাসবে, কোন সমস্যার কি সমাধান হবে। ফ্রিল্যান্সিং কি পার্টটাইম নাকি ফুলটাইম: বর্তমানে সবথেকে প্রতিযোগিতার স্খান হল মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং জগত। পূর্বে এ জগতে এত লোক ছিলনা। কিন্তু করোনা মহামারীর পরে এ জগতে লোকের সংখ্যা অগনিত। তাই প্রতিযোগিতাও বেশি। একটা সময় ফ্রিল্যান্সিং পার্টটাইম হিসেবে করা যেত। কিন্তু বর্তমানে একটি কাজের পাশাপাশি এ কাজটি করা প্রায় অসম্ভব। অর্থাৎ এটা এখন ফুলটাইম কাজ। কারণ পূর্বে যখন কেও মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হত তখন সার্চ করে তার নাম থাকতো ১০ জনের ভেতর যা বর্তমানে ১০০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ১০০০ জনের মধ্যে তারাই আগে থাকে যারা পূর্বে অনেক কাজ করেছে, অভিজ্ঞ, যারা সবসময় অনলাইনে থাকে, যারা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করে, যারা এটাকে ব্যবসা হিসেবে করে ও যারা মার্কেটপ্লেসে অনেক টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপণ দিয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে নতুনেরা কি কাজ পায় না ? পায় তারাও পায়। তবে অল্প পরিমাণে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। অনেক বায়ার থাকে যারা অল্প রেটের জন্য নতুন সেলার খোঁজে। তবে বেশিরভাগ বায়ারের প্রথম পছন্দ থাকে যারা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেলার। সফল হতে কত সময় লাগতে পারে: এ প্রশ্নের কোন বাধাধরা উত্তর নেই। আপনি যদি সঠিক স্কিল নির্বাচন করতে পারেন, এক্সপার্ট হন, আপনার ভাগ্য যদি সুপ্রসন্ন হয় তাহলে খুব বেশি সময় লাগবেনা। তবুও ৩-৫ বছর লেগেই যাবে আপনার খেয়েপরে বাাঁচার মত ইনকাম করতে। মানে আপনাকে আর কোন কাজ না করে শুধু ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে। যদি ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকেন, আপনার স্কিল নির্বাচন যদি সঠিক হয়, কেও যদি আপনাকে প্রত্যক্ষ সাহায্য করে, আপনার যদি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় তবেই সফলতা আসবে। নতুবা ঝরে পড়তে হবে। কথাগুলোর সাথে অনেকে একমত হবেন না এটা স্বাভাবিক। অনেকের হয়ত ব্লগ পড়ে মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। তবে বাস্তবতা এটাই। আপনার মনে যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি নীতিমালা ও কৌশলপত্র : National School Meal Program Policy and Strategy Paper 2024

জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি, স্কুল মিল কর্মসূচি, স্কুল মিল নীতিমালা ও কৌশলপত্র, জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাংলাদেশ, School Meal Program, national School Meal Program, bangladesh School Meal Program, bangladesh National School Meal Program, bangladesh school meal 2024, school meal bd, school meal bd 2024, প্রতিপাদ্য “পুষ্টিকর স্কুল মিল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ” উদ্দেশ্য ১। দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করা জরুরি। পিছিয়ে পড়া এলাকাসহ গ্রামীণ সকল বিদ্যালয়েদুপুরে খাবার ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। ২। পথশিশু ও অন্যান্য অতিবঞ্চিত শিশু: এদেরকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনার এবংধরে রাখার লক্ষ্যে বিনা খরচে ভর্তির সুযোগ, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ,দুপুরের খাবার ব্যবস্থা এবং বৃত্তিদানসহ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়েতাদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর দুপুরের খাবার এবং প্রাথমিকস্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েপ্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগসহ সমৃদ্ধ চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, বাংলাদেশ পুষ্টি কর্মসূচি যেমন স্কুল ফিডিং এবং চরম পুষ্টিহীনতার শিকার শিশুদের জন্য নিরাময়মূলক (থেরাপেটিক) খাদ্য প্রদান অব্যাহত থাকবে এবং এতে প্রস্তাবিত মাতৃসংঘের (মাদার’স ক্লাব) অংশগ্রহণের ব্যবস্থাও থাকবে। সামাজিক সেবা প্রদানের পদ্ধতি সুরক্ষা বেষ্টনী থেকে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিস্তৃত করা প্রয়োজন হবে, এবং একে জীবনচক্র পদ্ধতির সাথে যুক্ত করে এতে কর্মসংস্থান নীতি ও সামাজিক বিমা ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সাথে, একে আধুনিক নগরভিত্তিক অর্থনীতির চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। (ঘ. বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ) জীবনচক্র ঝুঁকিসমূহ বিবেচনায় কর্মসূচি সংহতকরণ: জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বিদ্যমান কর্মসূচিসমূহকে অল্প কয়েকটি অগ্রাধিকার স্কিমে একীভবনের মাধ্যমে সেগুলিকে জীবনচক্র ব্যবস্থায় রূপান্তরে সহায়তা করবে। এটি সম্ভব হবে অগ্রাধিকার স্কিমসমূহের পরিধি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে স্কুল মিল কার্যক্রমকে শিশুদের জীবনচক্রের ঝুঁকিসমূহ বিবেচনার অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পাইলট ভিত্তিতে স্কুল চলাকালীন খাবার প্রদান (স্কুল মিলস) কর্মসূচি পরিচালনা করে। এ কর্মসূচির মূল্যায়ন ফলাফল থেকে দেখা গেছে শিশুরা এ কর্মসূচি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পুষ্টি সুবিধা পেয়ে থাকে। এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। খাবার তৈরিতে মাতৃসংঘকে (মাদার্স ক্লাব) সম্পৃক্ত করার সম্ভাব্যতাও যাচাই করা হবে। শিশুদেরকে প্রতিবন্ধী সুবিধা, বিদ্যালয়ে খাদ্য সুবিধা, ও এতিমদের জন্য কর্মসূচিসুবিধা প্রদান করা হবে। এছাড়াও, পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য তাদের এই অবস্থারজন্য দায়ী অভিভাবকদের নিকট থেকে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণে আইনীসুরক্ষা প্রদান করা হবে। ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নের উপায় হিসেবে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর একটি অন্যতম কৌশল হলো: যেখানে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু আছে সেখানে ভালো ডায়েটরি অভ্যাস প্রবর্ধন এবং সংরক্ষণ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-এর স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামকে শিক্ষা খাতে সরকারের প্রবর্তিত অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি ও পরবর্তী কর্মসম্পাদন এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের কৃতিত্বের ওপর প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়ন এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা একটি শক্তিশালী ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য ১ বছরের প্রাক-প্রাথমিক কর্মসূচি তৈরি করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। শিশুদের অপর্যাপ্ত পুষ্টি সমস্যার সমাধান করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ জাতীয় স্তরে অবশ্যকরণীয় হিসেবে স্কুলে খাদ্যসরবরাহ-কর্মসূচি চালু করলে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েদের পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি পূরণে সাহায্য হবে। এর জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা রাষ্ট্র করবে এবং স্থানীয় জনগণ তদারকি করবে বাস্তবায়নের। জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জাতীয় খাদ্যনীতি ২০০৬ উদ্দেশ্য-৩: সকলের (বিশেষত: নারী ও শিশুর) জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি বিধান করা। জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫ পুষ্টি কেন্দ্রিক বা প্রত্যক্ষ পুষ্টি কার্যক্রম প্রসারে প্রণীত কৌশলসমুহ:কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বৃদ্ধি যেন যথাযথ হয় এবং তারা কাক্সিক্ষত উচ্চতা ও ওজনসহ পূর্ণ বয়স্ক মানুষ হিসেবে বিকাশ লাভ করতে পারে তার জন্য তাদের পর্যাপ্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টিশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫ বাংলাদেশ অনুপুষ্টি কণা ঘাটতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কৌশলপত্রের সুপারিশ বাস্তবায়নে খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা ও খাদ্যে অনুপুষ্টি কণা সমৃদ্ধকরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী হিসেবে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, কিশোরী এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিবেচনায় আনা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে পুষ্টির বিষয়গুলো সম্পৃক্তকরণের জন্য বহুবিধ পন্থা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্থায়ীভাবে বা দুর্যোগের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীন দুস্থ’ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা (অনুপুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যসহ) এবং নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রম ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ইত্যাদি। কর্মসূচিতে অনুপুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য বিতরণের সঙ্গে পুষ্টি শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম সম্পৃক্ত করা। গ্রাম ও শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহল্লায় ওজনাধিক্য ও স্থুলতা হ্রাসকল্পে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামকে উৎসাহিত করা। স্কুল হেল্থ কর্মসূচি, স্কুল ফিডিং ও স্কুল গার্ডেনিং-এ সহায়তা প্রদান। জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ গত ১৯ আগস্ট ২০১৯ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিতে¦ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদসভায় জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ অনুমোদন করা হয়। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার (ক্যালরি) ন্যূনতম ৩০% স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে, যা প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩-১২ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্ধ-দিবস স্কুলের ক্ষেত্রে দৈনিক প্রয়োজনীয় অনুপুষ্টি-কণার চাহিদার ন্যূনতম ৫০% স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক প্রয়োজনীয় শক্তির ১০-১৫% প্রোটিন থেকে এবং ১৫-৩০% চর্বি থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। তবে স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ ১০%-এর চেয়ে কম রাখতে হবে। পুষ্টিকর স্কুল মিল প্রোগ্রামে ন্যূনতম খাদ্য-তালিকাগত বৈচিত্র্য বিবেচনায় নিয়ে দশটি খাদ্যগোষ্ঠীর মধ্যে ন্যূনতম চারটি খাদ্যগোষ্ঠী নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। প্রতিদিনের স্কুল মিলের খাদ্যবৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও খাবারের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পুষ্টিচাল, ডাল, পুষ্টিতেল ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমী তাজা সবজি এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে তৈরি করা হবে, যাতে শিশুদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার শতকরা ত্রিশভাগ ক্যালরি এবং অপরিহার্য অনুপুষ্টি-কণা, পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং প্রয়োজনমতো চর্বির চাহিদা স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত হয়। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, মা-বাবা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবারের মেনু বা খাদ্যতালিকা নির্বাচন করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে

৮০০ কোটি টাকার আমার গ্রাম আমার শহর (amar gram amar sohor) প্রকল্প আপনার জেলায় কোন গ্রামে শুরু হবে জেনে নিন

amar gram amar sohor

amar gram amar sohor মূলত প্রায় ৮০০ কোটি টাকার গ্রাম উন্নয়ণ প্রকল্প যার মাধ্যমে শুরুতে পাইলট আকারে ০৮ টি জেলায় ১৫ টি গ্রাম উন্নয়ন শুরু হবে। কি এই প্রকল্প: আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শহরের সকল সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় গত ১০/০৭/২০২৩ ইং তারিখে আমার গ্রাম, আমার শহর (amar gram amar sohor) শীর্ষক প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশব্যাপী মোট ১৫ টি গ্রামে প্রথমত এটি পাইলট আকারে শুরু করা হবে তারপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন গ্রামে শুরু করা হবে। চলুন জেনে নিই আপনার এলাকায় কোন গ্রামে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প.. কোথায় শুরু হচ্ছে প্রকল্প: নিম্নোক্ত জেলার গ্রামগুলোতে শুরু হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর (amar gram amar sohor) প্রকল্প: ক্র: নং: স্থান ০১ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের শাকচাইল ০২ খুলনার ডুমুরিয়ার টিপনা ০৩ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালি ০৪ সুনামগঞ্জের শিমুলবাঁক ০৫ নওগাঁর নিয়ামতপুরের খোরদো চম্পা ০৬ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের চরশরত ০৭ রাঙ্গামাটির বরকলের ছোট হরিণা ০৮ সিলেটের গোয়াইনঘাটের বাগাইয়া ০৯ রাজশাহী বাগমারার সোনাডাঙ্গা ১০ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি ১১ গাইবান্ধার ফুলছড়ি ১২ বরিশালের হিজলার ইন্দুরিয়া ১৩ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বিলচান্দা ১৪ নরসিংদীর মনোহরদীর হাফিজপুর ১৫ নেত্রকোনার বারহাট্টার দক্ষিণ ডেমুরা আমার আরো ব্লগ পড়ুন: প্রকল্পের সুবিধাসমূহ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (২০১৮) আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের বিশেষ অঙ্গীকার ছিল ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ (amar gram amar sohor)। অনেকে হয়ত ভাবছেন গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। তবে মূলত তা নয়। তবে কিছুটা তাই। মূলত গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ,গ্রামপ্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, খাল খনন ও পুকুর খনন, বিদ্যুত সংযোগ, ইন্টারনেট সংযোগ, রাস্তার বাতি, গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োগ্যাস উৎপাদন, সড়ক বনায়ন, পাইপ লাইনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, টিউবয়েল নির্মাণ, স্যানিটেশন, বন্ধু চুলা নির্মাণ, হাটবাজার নির্মাণ, কবরস্থান ও ঈদগাহের সংস্কার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণ, যুবদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে একটি আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এই প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই নিজেদের জমিতে প্লান করে মডেল আকারে আবাসন (ঘরবাড়ি) তৈরী করা হবে। প্রথমিক তথ্য অনুযায়ী, তিনটি গ্রামে ৬৮টি চারতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। জমি এবং ১০ শতাংশ অর্থ উপকারভোগী দেবেন এবং বাকি ৯০ শতাংশ অর্থ সুদমুক্ত কিস্তিতে ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে। কর্মসংস্থান: মানুষের গ্রাম থেকে শহরে আসার বড় কারণ গ্রাসে কর্মসংকট। গ্রামে কাজের সুযোগ সীমিত, বাড়তি আয়ের কারণে শহরে মানুষ আসে। তাই গ্রাম উন্নয়নে নেওয়া “আমার গ্রাম, আমার শহর“ (amar gram amar sohor) প্রকল্পে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার ১০০ বেকার তরুণকে জীবনমান উন্নয়নে পেশাভিত্তিক হস্তশিল্প ও কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আরো জানতে এই লিংক থেকে বই ডাউনলোড করে পড়তে পারেন

সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কিত সকল তথ্য একসাথে । All information related to universal pension at one place

পেনশন (Pension) শব্দটার সাথে আমরা আমরা সবাই পরিচিত। যার বাংলা অর্থ অবসর ভাতা। সাধারণত সরকারী চাকুরিজীবিদের চাকুরির বয়সকাল শেষে তাকে যেন কারও উপর নির্ভরশীল হতে না হয় সেজন্য এটি দেয়া হয়। তবে বর্তমানে সরকারী চাকুরিজীবিদের শুধু নয় বরং দেশের আপামর জনসাধারণ ও প্রবাসীরাও পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন। তাই এদশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হল। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ এর আওতায় দেশের সকল নাগরিকদের জন্য ০৪ টি ভাগে সর্বজনীন পেনশন (universal pension bangladesh) চালু করেছেন। চলুন সর্বজনীন পেনশন সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। সর্বজনীন পেনশন কি (what is universal pension bangladesh): বাংলাদেশ সরকারের একটি দূরদর্শী সকল জনসাধারণের জন্য তৈরী অবসর ভাতার নাম সর্বজনীন পেনশন (universal pension bangladesh)। দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধি জনিত কারণে  ক্রম বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সমাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনার জন্য এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে যেন নির্ভশীলতার হার বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ এর আওতায় দেশের সকল নাগরিকদের জন্য ০৪ টি ভাগে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ ই আগস্ট ২০২৩ ইং উক্ত পেনশন স্কিম বা কর্মসূচি উদ্বোধন ও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন। এই ভিডিওর লিঙ্কে ক্লিক করে আরো ভালোভাবে জানুন সর্বজনীন পেনশন এর শর্তসমূহ (condition of universal pension bangladesh): সর্বজনীন পেনশন এর শর্তসমূহ নিম্নরূপ: সর্বজনীন পেনশন প্যাকেজ/স্কিম সমূহ (universal pension bangladesh schemes): সর্বজনীন পেনশন প্যাকেজ/স্কিম মোট ০৪ টি ভাগে বিভক্ত। যথা: আরো পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন এর মাসিক চাঁদার হার ও সম্ভাব্য পেনশন প্রাপ্তি (contribution rate of universal pension and possible monthly pension receipt): সর্বজনীন পেনশনের আওতায় কেও মাসিক কত টাকা দিলে, কত বছরে সম্ভাব্য কত টাকা মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন তার নমুনা নীচে দেওয়া হল: ১. প্রবাস (probas): প্রবাসী নাগরিকদের জন্য  অর্থাৎ যারা বিদেশে থাকেন। মাসিক চাঁদার হার ৫,০০০ টাকা ৭,৫০০ টাকা ১০,০০০ টাকা চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) ৪২ ১,৭২,৩২৭ ২,৫৮,৪৯১ ৩,৪৪,৬৫৫ ৪০ ১,৪৬,০০১ ২,১৯,০০১ ২,৯২,০০২ ৩৫ ৯৫,৯৩৫ ১,৪৩,৯০২ ১,৯১,৮৭০ ৩০ ৬২,৩৩০ ৯৩,৪৯৫ ১,২৪,৬৬০ ২৫ ৩৯,৭৭৪ ৫৯,৬৬১ ৭৯,৫৪৮ ২০ ২৪,৬৩৪ ৩৬,৯৫১ ৪৯,২৬৮ ১৫ ১৪,৪৭২ ২১,৭০৮ ২৮,৯৪৪ ১০ ৭,৬৫১ ১১,৪৭৭ ১৫,৩০২ ২. প্রগতি (progoti): এটি মূলত যারা বেসরকারী কর্মচারী বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। মাসিক চাঁদার হার ৫,০০০ টাকা ৭,৫০০ টাকা ১০,০০০ টাকা চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) ৪২ ৬৮,৯৩১ ১,০৩,৩৯৬ ১,৭২,৩২৭ ৪০ ৫৮,৪০০ ৮৭,৬০১ ১,৪৬,০০১ ৩৫ ৩৮,৩৭৪ ৫৭,৫৬১ ৯৫,৯৩৫ ৩০ ২৪,৯৩২ ৩৭,৩৯৮ ৬২,৩৩০ ২৫ ১৫,৯১০ ২৩,৮৬৪ ৩৯,৭৭৪ ২০ ৯,৮৫৪ ১৪,৭৮০ ২৪,৬৩৪ ১৫ ৫,৭৮৯ ৮,৬৮৩ ১৪,৪৭২ ১০ ৩,০৬০ ৪,৫৯১ ৭,৬৫১ ৩. সুরক্ষা (surokkha): এটি মূলত রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে/অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। মাসিক চাঁদার হার ৫,০০০ টাকা ৭,৫০০ টাকা ১০,০০০ টাকা চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) ৪২ ৩৪,৪৬৫ ৬৮,৯৩১ ১,০৩,৩৯৬ ৪০ ২৯,২০০ ৫৮,৪০০ ৮৭,৬০১ ৩৫ ১৯,১৮৭ ৩৮,৩৭৪ ৫৭,৫৬১ ৩০ ১২,৪৬৬ ২৪,৯৩২ ৩৭,৩৯৮ ২৫ ৭,৯৫৫ ১৫,৯১০ ২৩,৮৬৪ ২০ ৪,৯২৭ ৯,৮৫৪ ১৪,৭৮০ ১৫ ২,৮৯৪ ৫,৭৮৯ ৮,৬৮৩ ১০ ১,৫৩০ ৩,০৬০ ৪,৫৯১ ৪. সমতা (somota): এটি মূলত স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য। (স্বল্প বলতে কত আয় তা উল্লেখ নেই।) মাসিক চাঁদার হার ১,০০০ টাকা (চাঁদাদাতা ৫০০ টাকা + সরকারি অংশ ৫০০ টাকা) চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে) সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা) ৪২ ৩৪,৪৬৫ ৪০ ২৯,২০০ ৩৫ ১৯,১৮৭ ৩০ ১২,৪৬৬ ২৫ ৭,৯৫৫ ২০ ৪,৯২৭ ১৫ ২,৮৯৪ ১০ ১,৫৩০ সর্বজনীন পেনশন আইন ও বিধিমালা (universal pension bangladesh act and rules): সর্বজনীন পেনশন পরিচালনা পর্ষদ (universal pension bangladesh board of directors): প্রজ্ঞাপণ ডাউনলোড করে পড়ুন বাংলাদেশ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (national pension authority of bangladesh): নাম কবিরুল ইজদানী খান ফোন (অফিস) +৮৮-০২-৯৫৮৫১৩৩ পদবী চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগ মোবাইল ০১৯২৪৭৭৪৯০৯ অফিস বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা   ইমেইল kezdani@finance.gov.bd নাম মোঃ গোলাম মোস্তফা ফোন (অফিস) +৮৮-০২-৫৫১০০৬০৭ পদবী সদস্য(অতিরিক্ত দায়িত্ব), অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগ মোবাইল ০১৭১২৭৬৬২৭২ অফিস প্রবিধি, বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান   ইমেইল gmostofa@finance.gov.bd সর্বজনীন পেনশনে যেভাবে আবেদন করবেন (how to apply for universal pension bangladesh): সর্বজনীন পেনশন এর ওয়েবসাইট ইউপেনশন এ গিয়ে একাউন্ট খুলে লগিন করে পেনশন আবেদন করা যাবে। ভালোভাবে বুঝতে এই ভিডিওটি দেখুন সর্বজনীন পেনশন আবেদন ফরম (application form of universal pension bangladesh): অনলাইন ছাড়াও সর্বজনীন পেনশনে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করে সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখার মাধ্যমে ইউপেনশন এ অন্তর্ভূক্ত হওয়া যাবে। আবেদন ফরম পিডিএফ ডাউনলোড করুন নীচের বাটনে ক্লিক করে: সর্বজনীন পেনশন ওয়েবসাইট সর্বজনীন পেনশন ইউটিউব চ্যানেল