কি মোবাইল কিনবো ? 2024 সালে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার ?
কি মোবাইল কিনবো ? কতদিন আর মানুষকে জিজ্ঞাসা করে মোবাইল কিনবেন। এই লিখা পড়ে মোবাইল ফোন নিজে পছন্দ করার উপায় জেনে নিন… কি মোবাইল কিনবো মোবাইল কেনার আগেই মানুষের মাথায় যে প্রশ্নটি আগে আসে তা হল কি মোবাইল কিনবো ? কি মোবাইল ভালো? কি মোবাইল কিনলে ভালো হবে? কি মোবাইল সবচেয়ে ভালো? ইত্যাদি। তা হতে পারে কি ধরনের মোবাইল। মানে বাটন ফোন? যা দিয়ে শুধুমাত্র কথা বলা ও রাফ ব্যবহারের যায় নাকি স্মার্ট ফোন যা দিয়ে কথা বলা, ইন্টারনেট চালানো, ছবি তোলা, ভিডিও করা ইত্যাদি সব করা যায়। আপনার প্রথমত কি কাজের জন্য মোবাইল প্রয়োজন, তা মাথায় নিয়ে আগে ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। মানে বাটন ফোন নাকি স্মার্টফোন? কি মোবাইল ভালো/কি মোবাইল কিনলে ভালো হবে? যদি আপনার ক্যাটাগরি নির্বাচন করা হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এবারে দেখতে হবে কোন কোম্পানীর কেমন ডিজাইনের ও কি কনফিগারেশনের মোবাইল কিনবেন। বাটন ফোন কেনার চেকলিস্ট: প্রথমে বাটন ফোন কেনার আগে কি কি বিষয় মাথায় রাখবেন তা আলোচনা করা হল: কোম্পানী নির্বাচন আপনার যদি কোন কোম্পানী পছন্দ থাকে যেমন: নোকিয়া, স্যামসাং, সিম্ফনি ইত্যাদি তার মধ্যে যেকোন একটি কোম্পানী নির্বাচন করুন। মডেল নির্বাচন অনেকে ভাবেন সাধারণ বাটন ফোন কিনতে অত আর কি দেখার আছে। বাজারে দিয়ে যেটার মডেল ভাল লাগবে কিনে নেব। এই ধারণা আসলে ভুল। এভাবে যারা ফোন কেনেন তারা আসলে কিছুদিন পরেই ভুক্তভোগী হন। কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রেখে মডেল নির্বাচন না করলে মাত্র কয়েকদিনেই আপনার ফোন হবে আপনার প্রথম সমস্যার কারণ। আরো পড়ুন: ব্যাটারি: বাটন ফোনের ক্ষেত্রে প্রথমত দেখতে হবে ব্যাটারি কত এ্যাম্পিয়ার। যদি ৮০০/১০০০/১২০০/১৫০০/১৮০০ মিলি এ্যাম্পিয়ার হয় তাহলে না কেনাই ভাল। কারণ এত এ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির ফোন সারাদিনে আপনাকে একবার চার্জ দিতে হবেই। এটা একটা বড় অসুবিধা। অনেকে থাকেন ব্যস্ত মানুষ। যাদের দিনে একবার চার্জ দেবার সময় থাকেনা বা ভুলে যান তারা অবশ্যই কমপক্ষে ২০০০ মিলি এ্যাম্পিয়ার বা এর উপরে ফোন কিনুন। অর্থাৎ যে মডেলটির ব্যাটারি বেশি সেটা কিনুন। সাইজ: এবারে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখতে হবে তা হাতের থেকে অনেক বড়/মোটা কিনা। যদি হয় তা কেনা থেকে বিরত থাকুন। হাতে নিয়ে মুঠোর মধ্যে সহজেই ধরা যায় এমন মোবাইল কিনুন। মোবাইল বড় হলে হাতে ও পকেটে রাখতে সমস্যায় পড়বেন। বাটন: বাটন ফোনের মোবাইলের বাটন ফাঁকা ফাঁকা দেখে কিনুন। একটি বাটনের সাথে আরেকটি বাটন যেন লেগে না থাকে। বাটন আলাদা হলে টাইপ করতে সুবিধা হয় ও বাটন অনেকদিন টেকে। সিম ও মেমোরী কার্ড স্লট এখনকার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বাটন ফোনে ২ টি সিম স্লট ও ১ টি মেমোরী স্লট আছে এমন ফোন কেনা উচিত। অডিও গান বাজে কিনা এখনকার প্রায় সব বাটন ফোনেই অডিও গান বাজে। ভিডিও ক্যামেরা এসব থাকুক না থাকুক অডিও গান যেন বাজে এমন ফোন কেনা দরকার। ব্লুটুথ বাটন ফোনে ব্লুটুথ থাকাও জরুরী। এটি থাকলে অন্য মোবাইলের সাথে সহজেই তথ্য আদানপ্রদান করা যায়। আবার নেকব্যান্ড, এয়ারবার্ড ইত্যাদিও ব্যবহার করা যায়। স্মার্টফোন/টাচফোন কেনার চেকলিস্ট: বাজেট অথবা কনফিগারেশন ফিক্সিং স্মার্টফোন/টাচফোন কেনার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে বাজেট অথবা কনফিগারেশন ঠিক করতে হবে। একটি বাটন ফোন যেকোন সময় যে কেও কিনে ফেলতে পারেন। সেক্ষেত্রে অত সিদ্ধান্ত নিতে হয়না। কিন্তু একটি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার ফোন স্মার্টফোন/টাচফোন কিনতে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবার দরকার আছে। কারণ আমাদের সবার সক্ষমতা এখনো এরকম নয় যে সকালে একটা টাচফোন কিনে ভাল লাগলোনা বিকেলে আরেকটা কিনলাম। সেক্ষেত্রে বাজেট অথবা কনফিগারেশন ফিক্সড করা বিশেষ জরুরী। যদি একটি ফোন কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা বাজেট ফিক্সড থাকে তাহলেৈ ঐ দামের মধ্যে কি কি মডেলের, কোন কোন কোম্পানীর, ফোন পাচ্ছেন তা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিয়ে মডেল পছন্দ করুন। আবার যদি আপনার টাকার সমস্যা না থাকে, যদি একটি ভাল কনফিগারেশনের ফোন কেনার ইচ্ছা থাকে তাহলে কনফিগারেশন লিখে গুগোলে সার্চ করে ফোন সম্পর্কে জেনে নিয়ে ফোন পছন্দ করে কিনতে বাজারে যান। ২০২৪-২৬ সালের জন্য ভাল কনফিগারেশনের স্মার্টফোন কি? সময় ও আপডেট এর উপর ভিত্তি করে স্মার্টফোনের একটি কনফিগারেশন স্ট্যান্ডার্ড আছে। অর্থাৎ ২০২৪-২০২৬ সালে বা তার বেশি ব্যবহারের জন্য ন্যুনতম একটি স্মার্টফোনের কি কি কনফিগারেশন বা রূপরেখা থাকতে হবে। কারণ আজ থেকে ২-৩ বছর আগেও যে কনফিগারেশনের ফোন আপনি চালাতেন এখন সেটা চলবনা। কারণ প্রত্যেক এ্যাপ আপডেট হয়ে এর ইনস্টলেশন এর স্টোরেজ বেড়েছে। যে এ্যাপ ২০২০ সালে ছিল ২০ মেগাবাইটের সেটা এখন ৯০-১০০ মেগাবাইটের। যা ইন্সস্টল করলে বেড়ে দাঁড়ায় ২০০-৩০০ মেগাবাইট। এটি ব্যবহার করতে থাকলে আরো বাড়তেই থাকে। সেজন্য কনফিগারেশন স্ট্যান্ডার্ড বুঝে ফোন না কিনলে ঠকতে হবে নিশ্চিত। ২০২৪-২০২৬ সাল এর স্মার্টফোন কনফিগারেশন স্ট্যান্ডার্ড ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আরামে ব্যবহারের জন্য আপনাকে এরকম একটি ফোন কিনতে হবে যার কনফিগারেশন নীচে দেওয়া হল: যদি আপনার বাজেট উপরের ফোন কেনার মত না থাকে তাহলে নীচেরটা কিনুন। তবে সেক্ষেত্রে ২০২৬ সাল নাগাদ ফোন কিছুটা ধীরগতি হবার সম্ভাবনা থাকবে। ইন্টারনেটে সার্চ করে কোম্পানী ও মডেল নির্বাচন স্মার্টফোন কেনার আগে বাজেট/কনফিগারেশন ফিক্সড করে সে অনুযায়ী ইন্টারনেট সার্চ করে ফোনের মডেল নির্বাচন করা বিশেষ প্রয়োজন। কারণ কোন কোম্পানী ও মডেল ফিক্স না করে বাজারে কোন শোরুমে বা দোকানে গেলে বিক্রেতা আপনাকে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে একটা ফালতু ফোন হাতে ধরিয়ে দিতে পারে এটা আশ্চর্য হবার কিছু নয়। তাই অবশ্যই ইন্টারনেট ঘেঁটে কোন কোম্পানীর কি মডেলের স্মার্টফোন কিনবেন তা নির্ধারণ করে যান। এতে আপনার কেনা ও বিক্রেতার বিক্রি স্বাচ্ছন্দময় হবে ও আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। ভাল কিছু স্মার্টফোনের কোম্পানীর নাম: উপসংহার: সর্বপরী আপনার সুন্দর ল্যাপটপ ব্যবহারের শুভকামনা রইল। এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন ও আপনার কোন উপকার হয় তবে অবশই এটি আপনার পরিচিত মানুষদের শেয়ার করে পড়ার সুযোগ তৈরী করে দিন ও আমাদের ব্লগের সাথেই থাকতে নোটিফিকেশন ইয়েস করুন। ধন্যবাদ।