ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম । বিজয় ও অভ্র ইন্সটল ছাড়াই । Technique for writing Bangla on laptop without install bijoy52 and Avro

ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম

আজকে আপনারা জানবেন ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম। কিভাবে ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে বিজয় ও অভ্র ইন্সটল করা ছাড়াই বাংলা লিখবেন। চলুন জেনে নিই…. অভ্র ও বিজয় ৫২ কি ? অভ্র ও বিজয় বায়ান্ন মূলত দুটি বহুল ব্যবহৃত বাংলা লিখার সফ্টওয়ার। আপনার ল্যাপটপে সহজে বাংলা লিখতে গেলে দুটি সফ্টওয়ারের যেকোন একটি থাকতেই হবে। তবে বর্তমানে আধুনিক যুগে আগের মতন আর সফ্টওয়ার ইন্সটলেশনের দরকার হয়না। আপনি যদি বেশিরভাগ ইংরেজী লিখেন, মাঝে মাঝে বাংলা লিখেন ও মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডে বাংলা কম লিখেন তাদের ক্ষেত্রে উক্ত সফ্টওয়ার ইন্সটল না করেও নীচের পদ্ধতি অনুসরণ করে অনায়াসে বাংলা লিখতে পারবেন। আরো পড়ুন: ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম “অভ্র ও বিজয় ছাড়া” অভ্র ও বিজয় ছাড়া ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম খুবই সোজা। তবে আপনি টাইপিং এ দুর্বল হলে সেজন্য অবশ্যই আপনার কাছে বাংলা ও ইংরেজী উভয় নির্দেশক কিবোর্ড থাকতে হবে বা ইংরেজী কিবোর্ডের কোন অক্ষরে কি কি বাংলা অক্ষর থাকে তা মুখস্ত থাকতে হবে। আমি ধরে নিলাম আপনার কাছে এরকম একটা কিবোর্ড আছে বা আপনার কিবোর্ডের কোথায় কোন অক্ষর আছে সব মুখস্ত। এবারে আপনাকে এই লিঙ্কে যেতে হবে। এরপর লাল ঘেরা ঘরের ভেতরে ইউনিকোড অপশনে কিবোর্ডে বাংলা টাইপ করার মতন করে টাইপ করলেই আপনি বাংলা লিখতে পারবেন। তারপর সেখান থেকে কপি করে আপনার প্রয়োজনীয় স্থানে লিখা সরিয়ে নিবেন। ব্যাস শেষ। উপসংহার: সর্বপরী আপনার সুন্দর ল্যাপটপ ব্যবহারের শুভকামনা রইল। এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন ও আপনার কোন উপকার হয় তবে অবশই এটি আপনার পরিচিত মানুষদের শেয়ার করে পড়ার সুযোগ তৈরী করে দিন ও আমাদের ব্লগের সাথেই থাকতে নোটিফিকেশন ইয়েস করুন। ধন্যবাদ।

ল্যাপটপ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? How to use a laptop 2024 ?

ল্যাপটপ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়

বর্তমান ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার তথা ল্যাপটপ কম্পিউটার একটি অতি পরিচিত যন্ত্র। বর্তমানে চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, ছাত্র/ছাত্রী, নারী-পুরুষ প্রায় সকলের কাছে একটি ডেক্সটপ/ল্যাপটপ কম্পিউটার আছেই। এখন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ছাড়া জীবন অচল বলেই মনে হয়। তবে ল্যাপটপ কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা না জানলে খুব জলদি অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার প্রিয় ও প্রয়োজনীয় অবিচ্ছেদ্য যন্ত্রটি। চলুন জেনে নিই ল্যাপটপ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারণা: ল্যাপটপ হল ডেক্সটপ কম্পিউটারের উন্নত ও পরিবহনযোগ্য রূপান্তর। ল্যাপটপ হল মূলত ল্যাপটপ কম্পিউটার। সংক্ষেপে আমরা ল্যাপটপ বলে থাকি। পৃথিবীতে প্রথমে ডেক্সটপ কম্পিউটার আবিস্কৃত হয়। যার সিপিইউ/পিসি, মণিটর, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদাভাবে থাকত। যা একসঙ্গে পরিবহনযোগ্য ছিলনা। মূলত ডেক্সটপ কম্পিউটারের পরিবহনযোগ্যতা ও সহজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ কম্পিউটার আবিস্কার করা হয়। ল্যাপটপ ব্যবহারের নিয়মাবলি: আপনি এখন এই ব্লগটি পড়ছেন মানে আপনার একটি ল্যাপটপ/ডেক্সটপ আছে বা কেনার মনস্থ করেছেন। ল্যাপটপ কেনার আগে বা পরে ল্যাপটপের ব্যবহারের নীতিমালা ও ল্যাপটপের যত্ন কিভাবে করতে হয় তা জানা খুব জরুরী। নাহলে আপনার সখের ও প্রয়োজনীয় ল্যাপটপটি নিয়ে পোহাতে হতে পারে ভোগান্তী। একটানা কতক্ষণ চালাবো ? একটানা ৩ ঘন্টার বেশি ল্যাপটপ চালানো ল্যাপটপের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ আমরা জানি একটি ল্যাপটপের ব্যাটারি ৩-৪ ঘন্টা মত ব্যাকাপ দিতে পারে। এর মানে হল সরাসরি বিদ্যুত ছাড়া এটি চলবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। অর্থাৎ এটি ৩ ঘন্টা পর পর প্রায় ৩০ মিনিটি বিশ্রাম দিয়ে চালাতে হবে। এতে ল্যাপটপ গরম হবেনা ও এর কার্যক্ষমতা বাড়বে। আরো পড়ুন: চার্জার বৈদ্যুতিক লাইনে দিয়ে রেখে চালাবো কিনা ? অনেকে ল্যাপটপ বৈদ্যুতিক লাইনে চার্জে রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা বিশ্রাম বিহীন ভাবে চালাতে থাকেন। এতে একসময় ল্যাপটপ মাদারবোর্ড ও ব্যাটারী প্রচন্ড গরম হয়ে যায়। ফলে এটির ব্যাটারি ফুলে যায় ও প্রসেসর ও মাদারবোর্ডেও নানান সমস্যার দেখা দেয়। সর্বপরী এর আয়ু কমে যায়। তাই এভাবে ল্যাপটপ না চালিয়ে এটি ৩ ঘন্টা পর পর প্রায় ৩০ মিনিটি বিশ্রাম দিয়ে চালালে দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে যদি আপনার পরিবেশ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হয় তবে আরেকটু বেশি সময় চালাতে পারেন। যদি কুলিং প্যাড ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রেও আরো একঘন্টা বেশি চালানো যেতে পারে। তবে বিশ্রাম দেয়া উচিত। আর ল্যাপটপের চার্জ ২০% এর নীচে এলে ল্যাপটপ বন্ধ করে চার্জে দেওয়া উচিত ও চার্জ পূর্ণ হয়ে গেলে চার্জার খুলে ফেলা উচিত। কখনই সারারাত ল্যাপটপ চার্জে রাখা ঠিক নয়। ধুলাবালি পরিস্কার কিভাবে করব ? ল্যাপটপের ভেতরে যে কুলিং ফ্যান থাকে তা বাতাস থেকে অনেক ধুলোবালি ধরে নিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে বাতাস টেনে নিয়ে পরিস্কার করা যেতে পারে। এই ধরুন মাসে একবার। এছাড়া ল্যাপটপের উপরের ধুলার জন্য একটি সুতির কাপড়/রংকরা ২ বা আড়াই ইঞ্চি ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি চাইলে আপনার পুরণো টুথব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্রাশ দিয়ে ল্যাপটপের মণিটর পরিস্কার না করাই ভাল। মণিটর শুধুমাত্র সুতির কাপড় দিয়ে মুছবেন। কিবোর্ডে বেশি ধুলা থাকলে রং করা ব্রাশ/পুরণো/নতুন টুথব্রাশ হলে তা সুন্দর ভাবে পরিস্কার করা যায়। এতে ল্যাপটপ ব্যবহারে রুচি ও এর আয়ু বাড়ে। পানি ও পিঁপড়া হতে কেন সাবধান হব ? ল্যাপটপ ব্যবহারের স্থানে বা আশেপাশে পানি, খাবার, তেলজাতীয় পদার্থ প্রভৃতি রাখা কখনই উচিত নয়। খেয়ে হাত না ধুয়ে বা চিটচিটে হাতে ল্যাপটপ ধরলে সেই তেল এর গন্ধে সেখানে ছোট পিঁপড়ার আগমন ঘটতে পারে। এরা ল্যাপটপের ভেতরে চলে গিয়ে মাদারবোর্ড, প্রসেসর, কিবোর্ড ইত্যাদিতে ঘোরাফেরা করলে সেগুলো শর্ট হয়ে যেতে পারে। আবার ল্যাপটপের আশেপাশে পানি রাখলে সেটি যেকোন ভাবে ল্যাপটপের পড়ার ভয় থাকে ও এতে আপনার ল্যাপটপটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এসব দুরে রাখুন। বৃষ্টির দিনে ব্যাগটিকে ও ল্যাপটপকে পলিথিনে মুড়ে সাবধানে চলাচল করুন। ব্যাগে কিভাবে পরিবহন করব ? যেহেতু আপনার ল্যাপটপ আছে সেহেতু আপনি তা পরিবহন করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, ল্যাপটপ অবশ্যই ব্যাগপ্যাকে পরিবহন করবেন। কোন মতেই বই নেবার মত করে ল্যাপটপ বেশিদুর পরিবহন করবেন না। ব্যাগে ল্যাপটপ আর চার্জার একসাথে রাখবেন না। এতে ল্যাপটপে দাগ পড়তে ও চাপে ভেঙ্গে যেতে পারে। চার্জার ব্যাগের পকেটে রাখুন। এতে দুটোই ভাল থাকবে। পিঠে ঝুলানো ব্যাগে ল্যাপটপ রাখলে বাইকে বা বাসে বা ট্রেনে জার্নি করার সময় ব্যাগ পিঠের পরিবর্তে সামনের দিকে রাখুন। বিছানায় কিভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করব ? অনেকে বিছানায় শুয়ে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করি। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ল্যাপটপের নীচের দিকে থাকা ফাঁকা জায়গা যেদিক দিয়ে বাতাস ঢোকে ও পাশে যেদিক দিয়ে বের হয় সেটা ঢেকে যাচ্ছে কিনা। খেয়াল রাখবেন এদুটো জায়গা যেন ফাঁকা থাকে। যেন বাতান ঠিকঠাক চলাচল করে। কখনই বালিশের উপরে রেখে ল্যাপটপ চালাবেন না। এতে ঢেকে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। Cache/ক্যাশে ক্লিন বা পরিস্কার কিভাবে করব ? ল্যাপটপের স্বাভাবিক কাজ ত্বরান্বিত করতে Cache ক্যাশে ক্লিন করা জরুরী। আমরা ল্যাপটপে যখন বিভিন্ন সফ্টওয়্যা চালাই তখন অটোমেটিক উইন্ডোজে কিছু জাঙ্ক ফাইল/ক্যাশে তৈরী হয়। এটি পরিস্কার না করলে ল্যাপটপের গতি কমে কাজ ধীরে হতে পারে। তাই ক্যাশে ক্লিন/পরিস্কার করা জরুরী। আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজের সার্চ অপশনে গিয়ে লিখুন Disk Cleanup তারপর উপরের আইকনটিতে ক্লিক করে একটা একটা করে ড্রাইভ সিলেক্ট করে ক্লিন করে ডিলিট করুন। ভয় নেই আপনার ফাইল ডিলিট হবেনা। শুধুমাত্র জাঙ্ক ফাইল ডিলিট হবে। এই জাঙ্ক ক্লিনের অনেক ফ্রি সফ্টওয়্যার পাওয়া যায় তবে সেগুলোতে স্পাইওয়ার ও এ্যাড থাকে। তাই ওগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। উপরের এটি উইন্ডোজের ডিফল্ড সফ্টওয়্যার তাই ভয়ের কোন কারণ নেই। কিভাবে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করব ? ল্যাপটপের সফ্টওয়ার ও ব্রাউজিং সিকিউরিটির জন্যে টাকা দিয়ে কিনে ০১ বছরের জন্য একটি করে ইন্টারনেট সিকিউরিটি বা এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা জরুরী। বাজারে নানা ধরনের এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়। যেমন: ক্যাসপারস্কাই, ইসেট, এভিরা ইত্যাদি। ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার না করাই ভাল। এতে ল্যাপটপের ধীরগতি হবার ও কিছু স্পাই সফ্টওয়ার অটো ইনসটল হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন: এভাস্ট, 360 ইত্যাদি। উপসংহার: সর্বপরী আপনার সুন্দর ল্যাপটপ ব্যবহারের শুভকামনা রইল। এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন ও আপনার কোন উপকার হয় তবে অবশই এটি আপনার পরিচিত মানুষদের শেয়ার করে পড়ার সুযোগ তৈরী করে দিন ও আমাদের ব্লগের সাথেই থাকতে নোটিফিকেশন ইয়েস করুন। ধন্যবাদ।