ভুত মুক্তি কেন্দ্র শিবধাম কোলকাতা । Bhoot Mukti Kendra shiv dham kolkata

শিবধাম কোলকাতা মূলত দেব আদি দেব মহাদেব/শিব এর একটি মন্দির/ধাম যা কোলকাতার দমদমে অবস্থিত। যার গুগোল ম্যাপ লিংক https://g.co/kgs/2Qzz6u, Dum Dum, India, 700030 সারা ভারতবর্ষের অনেক স্থানে রয়েছে শিবধাম। যার মধ্যে কেদার নাথ অন্যতম। কিন্তু সবার পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বিশেষত বাংলার মানুষের সেভাবে কেদার নাথে গিয়ে মহাদেবের কৃপা লাভ সম্ভব হয় না। সেজন্য এবারে বোধয় স্বয়ং মহাদেব বাংলার মানুষের দুঃখ ঘুচাতে নিজেই এলেন বাংলায়। কোলকাতায় গুরুদেব সৌরভ পিরানন্দম মহারাজের মাধ্যমে শিবধাম প্রতিষ্ঠা পেল কোলকাতার দমদমে (shiv dham kolkata)। বিনামূল্যে ও কম সময়ে মানুষ ভুত-প্রেত ঘটিত নানান সমস্যার সমাধানসহ নিজের ও পরিবারের আয় উন্নতি, সন্তানাদি, বাস্তুদোষ প্রভৃতি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন এবং বাবা ভোলানাথের কৃপা লাভ করছেন। মানুষ ভক্তি মার্গে ফিরছেন ও মনের অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন সেখানে। চলুন জেনে নিই শিবধাম সম্পর্কে.. শিবধামের মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়তা করুন: আপনারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে বাঁকুড়ায় শিবধামের মন্দির এবং সেবাশ্রম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে, আর শুধু বাঁকুড়ায় নয়, বাঁকুড়া ছাড়া বীরভূমেও এই মন্দির তৈরীর কাজ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য জায়গাতেও এই মন্দির তৈরী হতে চলেছে…আপনারা চাইলে এই নির্মাণ প্রকল্পের উদ্দেশ্যে যে যেমন পারবেন সরাসরি দান করতে পারেন এবং শিবধামের এই মহৎ কাজে আপনারাও পাশে থাকতে পারেন…. Shiv Dhaam Shree Gurupirananda Trust Indian Bank ( Kolkata South City) Account No – 7561446069 CIF – 30004894783 IFSC – IDIB000K775 Branch Code – 05714 👉 UPI ID:- shivdhaam@indianbnk 👉 নীচে দেওয়া QR Code Scan করে পেমেন্ট করুন.. কি এই শিবধাম (What is bhoot mukti kendra shiv dhaam): শিব ধাম এই শব্দের মাধ্যমেই বোঝা যায় এটি হল দেব আদি দেব মহাদেব এর মন্দির। যেখানে মহাদেবের আরাধনা, পূজা অর্চনা করা হয়। শুধু তাই নয় এখানে মহাদেব তার ভক্তদের সরাসরি কৃপা করেন। ভারতজুড়ে অনেক স্থানে মহাদেব এর এমন অনেক জাগ্রত মন্দির বা ধাম রয়েছে। যেখানে ভক্তরা তাদের মনস্কামনা পূর্ণের আশায়, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে যেয়ে থাকেন। সেখানে তারা মানত করেন, পূজা দেন এবং নিজের ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করে থাকেন। ধাম এমন একটি বিশেষ মন্দির যেখানে একজন বিশেষ দেবতা জাগ্রতভাবে বিরাজ করেন এবং তিনি সরাসরি তার পিড়ীত ভক্তদের কৃপা করেন, তাদের সমস্যার সমাধান করেন, তাদের ভক্তি মার্গ প্রদর্শন করেন। আমার গাওয়া কিছু সুন্দর গান শুনতে ঘুরে আসতে পারেন আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে… একনজরে শিবধাম (shiv dham kolkata at a glance): শিব ধামের গুরুদেব গুরুদেব সৌরভ পীরানন্দম মহারাজ শিব ধামের ঠিকানা 135/5 Seth Bagan Road, Dumdum, Kolkata:- 700030 (Near Seth Bagan Adarsha Vidyamandir High School) Dumdum Junction, Kolkata, West Bengal.. শিব ধামের গুগোল ম্যাপ লিংক https://g.co/kgs/2Qzz6u, Dum Dum, India, 700030 শিব ধামের ফেসবুক লিংক https://www.facebook.com/bhootmuktikendrashivdhaam?mibextid=ZbWKwL শিব ধামের ইউটিউব লিংক https://www.youtube.com/@bhootpretjinnjinnatgurupir8651 শিব ধাম মন্ত্র ওঁম নমঃ শিবায় শক্তিরূপে গুরুপীরানন্দম নমঃ ওঁম ওয়েবসাইট https://bhootmuktikendrashivdhaam.com শিবধাম কোলকাতার গুরুদেব (Gurudev of Shivdham Kolkata): দেব আদি দেব মহাদেব যার মাধ্যমে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত ও অধিষ্ঠিত হয়েছেন তার নাম গুরুদেব সৌরভ পীরানন্দম মহারাজ। কোলকাতার কোথায় শিবধাম রয়েছে (Where is shiv dham kolkata): ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কোলকাতার প্রাণকেন্দ্র দমদমে অবস্থিত শিব ধাম। ঠিকানা-135/5, শেঠ বাগান রোড, দম দম কলকাতা – 700030। (শেঠ বাগান আদারয়া বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে) পশ্চিমবঙ্গ দম দম জংশন কলকাতা। https://g.co/kgs/2Qzz6u, Dum Dum, India, 700030 এই ঠিকানা গুগোল ম্যাপে বসিয়ে একদম সোজাসুজি শিবধামে চলে যাওয়া যাবে। শিবধাম কোলকাতায় কিভাবে যাবেন (How to get to shiv dham kolkata): শিব ধাম দমদম কোলকাতায় বিভিন্ন ভাবে যাওয়া যায়। আপনার যদি নিজস্ব পরিবহণ যেমন: মোটরসাইকেল, চার চাকার গাড়ী থাকে তাহলে সেগুলো নিয়ে বা বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং গাড়ি নিয়ে গুগোল ম্যাপে-“135/5, শেঠ বাগান রোড, দম দম কলকাতা – 700030। (শেঠ বাগান আদারয়া বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে) পশ্চিমবঙ্গ দম দম জংশন কলকাতা” এই ঠিকানা বসিয়ে লোকেশন ট্র্যাক সোজা করে চলে আসতে পারেন শিবধামে। এছাড়া যারা গণপরিবহণে আসবেন তারা বাস, ট্রেন  প্রভৃতি করে উপরোক্ত লোকেশন ট্র্যাক করে চলে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা আরো ভাল ভাবে বোঝার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন। আশা করি ভালভাবে চিনে যাবেন। শিবধাম কোলকাতার সেবা প্রদানের দিন (Shiva Dham Kolkata Service Day): প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার শিবধাম খোলা থাকে বলে ইউটিউব চ্যানেল থেকে জানা যায়। যারা দুর থেকে শিবধামে আসতে চান তারা অবশ্যই যোগাযোগ করে এ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে আসুন। আর যেকোন আপডেট জানতে নীচে দেওয়া শিবধাম এর আসল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে চোখ রাখুন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য শিবধাম বন্ধ থাকে। তাই অবশ্যই সঠিক তথ্য জেনে ধামে আসুন। আরো পড়ুন: যারা শিবধাম কোলকাতায় আসতে পারছেন না তারা কি করবেন (What should those do who are unable to come to Shiv dham Kolkata): যারা বিভিন্ন পারিবারিক, ব্যক্তিগত, শারীরিক, আর্থিক বা অন্য যেকোন কারণে শিবধাম কোলকাতায় আসতে পারছেন না তারা নীচের শিবধাম এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন। সেখানে দেওয়া ভিডিওগুলো দেখুন। শিবধামের ফেসবুক পেজ এ শিবধামের ছবি রয়েছে সেটি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিয়ম মেনে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করুন, প্রতিদিন পূজা অর্চণা করুন ও মানসিক জপ করুন। পূজার মাধ্যমে দেব আদি দেব মহাদেব কে আপনার মনের কথা বলুন এবং তার ধামে আসার এ্যাপয়েনমেন্টের জন্য প্রার্থনা করুন। শিবধাম কোলকাতা মন্ত্র (Shiva Dham Kolkata Mantra): ওঁম নমঃ শিবায় শক্তিরূপে গুরুপীরানন্দম নমঃ ওঁম শিবধাম কোলকাতার ফেসবুক পেজ (Facebook Page of Shivdham Kolkata): সম্প্রতি শিব ধাম কোলকাতা নামে নানা ফেসবুক পেজ তৈরী হয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে মূল পেজ ফলো করে তথ্য জেনে ধামে আসুন। শিবধাম কোলকাতার আসল পেজ এর নাম Devotees Of Bhoot Mukti Kendra Shiv Dhaam শিবধাম কোলকাতার ইউটিউব চ্যানেল (YouTube channel of Shivdham Kolkata): সম্প্রতি শিব ধাম কোলকাতা নামে নানা ইউটিউব পেজ তৈরী হয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে মূল চ্যানেল ফলো করে তথ্য জেনে ধামে আসুন। শিবধাম কোলকাতার আসল ইউটিউব চ্যানেলের নাম Bhoot Pret Jinn Jinnat GuruPir শিবধাম কোলকাতার যোগাযোগ নম্বর (Shivdham Kolkata Contact No): শিব ধাম কোলকাতার কয়েকটি যোগাযোগ নম্বর রয়েছে। তবে সকল নম্বরে শুধু মাত্র হোয়াটসএ্যাপ নম্বরে মেসেজ করে এ্যাপয়েনমেন্ট পাওয়া যায়। সরাসরি কল করা নিষেধ। দয়া করে সরাসরি কল করবেন না। যারা নতুন ভক্ত তারা +8583912555 আর যারা পুরাতন ভক্ত +918582812555   নম্বরে যোগাযোগ করে আসতে পারেন। মনে রাখবেন অবশ্যই এ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে ধামে আসতে হবে নতুবা সেবা পাওয়া যায়না। শিবধাম কোলকাতায় আসার আগে (Before come to Shiv dham Kolkata): শিবধামে আসার আগে স্নান সেরে পরিস্কার কাপড় পরে শুদ্ধ শরীরে ও মনে ধামে আসুন। ধামে আসার আগে নিরামিষ খেয়ে আসুন। মনের সকল প্রকার চিন্তা দুর করে মহাদেবের কৃপা লাভ করবেন এটা ভাবতে ভাবতে, মহাদেব এর উপর ভরসা করে আসবেন। অবশ্যই ধামে আসার আগে উপরোক্ত যোগাযোগ নম্বরে কল বা মেসেজ … Read more

তাইজুল ইসলাম: একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী ক্রিকেটার

তাইজুল ইসলাম Taijul Islam বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিনি তার অসাধারণ দক্ষতা এবং কৌশল দিয়ে সবার মন কেড়েছেন। তিনি বামহাতি স্পিনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং তার নিয়মিত সাফল্য বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। বিশেষত, ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ে তার ভূমিকা স্মরণীয়। এক নজরে তাইজুল (Taijul Islam) বিষয় তথ্য নাম তাইজুল ইসলাম জন্ম তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ জন্মস্থান নাটোর, বাংলাদেশ পেশা ক্রিকেটার (বামহাতি স্পিনার) আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট বিশেষ রেকর্ড অভিষেক ওডিআই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা প্রথম ক্রিকেটার টেস্ট ম্যাচ ৪০+ টেস্ট উইকেট ১৫০+ টেস্টে সেরা বোলিং ৮/৩৯ ওডিআই উইকেট ৩০+ পরিবার বিবাহিত, এক পুত্রসন্তান প্রধান অর্জন ২০১৪ সালে বিসিবি বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় পুরস্কার ব্যক্তিগত জীবন সাদামাটা, পরিবারকেন্দ্রিক বিশেষ ভূমিকা ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ফেসবুক লিংক ক্লিক প্রারম্ভিক জীবন ও পরিবার তাইজুল ইসলামের জন্ম ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নটোর জেলায়। তার পরিবার ছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত। তার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ছিল এক অদম্য আগ্রহ। স্কুলের ফাঁকে গ্রামের মাঠে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলা তার বড় হয়ে ওঠার অংশ হয়ে দাঁড়ায়। তার বড় ভাই তাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন এবং তার ক্রিকেট জীবনের অন্যতম প্রেরণা ছিলেন। শিক্ষাগত জীবন তাইজুল ইসলাম পড়াশোনায় খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও, ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহই তাকে একটি বিশেষ জায়গায় নিয়ে আসে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তবে তার পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের পেছনে ত্যাগ করতে হয়, কারণ তিনি বুঝতে পারেন তার ভবিষ্যৎ ক্রিকেটেই নিহিত। Read More: ক্রিকেট জীবনের শুরু তাইজুল ইসলামের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় স্থানীয় পর্যায় থেকে। নটোর জেলা দলে খেলে তিনি নিজের প্রতিভা দেখান। এরপর তিনি রাজশাহী বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পান। এখানেই তিনি তার স্পিনের জাদু দেখান এবং জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসেন। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার যাত্রা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক এবং সাফল্য তাইজুল ইসলামের টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অভিষেকেই তিনি তার দক্ষতা প্রমাণ করেন এবং প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নেন। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেকেও তিনি হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি একমাত্র ক্রিকেটার যিনি অভিষেক ওডিআই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টেস্ট জয়। এই জয়ের পেছনে তার অবদান পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো: ক্রিকেট পরিসংখ্যান ও রেকর্ড তাইজুল ইসলাম এখন পর্যন্ত (২০২৪ সাল পর্যন্ত) ৪০-এর অধিক টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৫০-এর বেশি উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৩৯। ওডিআইতে তার উইকেট সংখ্যা ৩০-এর বেশি। তিনি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ রেকর্ডসমূহ: ব্যক্তিগত জীবন তাইজুল ইসলাম ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সাদামাটা। তিনি পরিবারকে সময় দিতে ভালোবাসেন এবং মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পরিবারকে পাশে রেখে তিনি তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সচেষ্ট। সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জ তাইজুলের ক্যারিয়ারে সমালোচনাও কম ছিল না। কখনো পারফরম্যান্সের ওঠানামা, কখনো ইনজুরি তাকে পিছু টেনে ধরেছে। তবে তিনি সবসময় সমালোচনা গঠনমূলকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রমাণ করেছেন। ২০১৯ সালে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে তার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে, যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তবে তিনি তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মিত পারফরম্যান্স দিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। অর্জন ও পুরস্কার বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অবদান তাইজুল ইসলামের স্পিন বোলিং বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি প্রতিবার বল হাতে মাঠে নামেন জয়ের জন্য এবং তার নিয়মিত পারফরম্যান্স দলের মনোবল বাড়ায়। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য তিনি একজন আদর্শ। তার মতো ক্রিকেটারদের জন্যই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করছে। উপসংহার তাইজুল ইসলামের ক্রিকেট জীবন কেবল তার দক্ষতা এবং সাফল্যের গল্প নয়, এটি একটি সংগ্রামেরও গল্প। একজন সাধারণ পরিবারের সন্তান থেকে দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানো নায়ক হয়ে ওঠার যাত্রা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তার নিঃস্বার্থ পরিশ্রম এবং দলের প্রতি তার দায়বদ্ধতা তাকে একজন প্রকৃত কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার আরও বড় অবদান থাকবে, এই আশা নিয়ে তিনি দেশের জন্য খেলতে থাকবেন।

ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: হিন্দু জাগরণ ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু ইসকনের (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি আধ্যাত্মিক নেতা, সমাজসেবক, এবং বাংলাদেশে হিন্দু পুনর্জাগরণ আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য কণ্ঠস্বর। চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিতর্কিত ঘটনার কারণে তিনি গ্রেফতার হন, যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একনজরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: বিষয় তথ্য পূর্ণ নাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু পেশা ইসকন নেতা, পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি, আধ্যাত্মিক শিক্ষক জন্মস্থান বাংলাদেশ পরিচিতি ইসকন সংগঠনের অন্যতম নেতা, ধর্ম প্রচারক, হিন্দু জাগরণ আন্দোলনের কণ্ঠস্বর সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) পরিবার পিতা-মাতা: বিস্তারিত তথ্য অজানা; ভাই-বোন: তথ্য অজানা বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত শিক্ষা শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও বৈষ্ণব দর্শনে বিশেষজ্ঞ ধর্মীয় ভূমিকা শ্রীমদ্ভাগবত গীতার শিক্ষা প্রচার, মন্দির প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সমাজসেবা দরিদ্রদের খাদ্য বিতরণ, ত্রাণ কার্যক্রম, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা অবদান হিন্দু সংস্কৃতি পুনর্জাগরণ, ধর্মীয় ঐক্যের প্রচার, বিভিন্ন উৎসব ও রথযাত্রার আয়োজন গ্রেফতারের কারণ ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত হন; অভিযোগ: জাতীয় পতাকার অপমান অভিযোগ জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রতিক্রিয়া ইসকন ও সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ; মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি বর্তমান অবস্থা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখযোগ্য স্থান চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম Youtube channel Link Click ব্যক্তিগত জীবন ও পরিচয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জন্ম বাংলাদেশের একটি ধর্মপরায়ণ বাঙালি পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট হন। তাঁর পিতা-মাতা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য সহজলভ্য না হলেও ধারণা করা হয়, তাঁদের প্রভাবেই তিনি সনাতন ধর্মের প্রতি নিবেদিত জীবনযাপন শুরু করেন। তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ধর্মচর্চা এবং সামাজিক কাজে সক্রিয় থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। তবে তাঁর বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনি মূলত আধ্যাত্মিক সেবায় নিবেদিত জীবনযাপন করেছেন এবং বৈষ্ণব দর্শনকে প্রচারের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেছেন। আরও পড়ুন: শিক্ষাজীবন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশেই সম্পন্ন হয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় গ্রন্থ, যেমন শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, মহাভারত, এবং অন্যান্য হিন্দু শাস্ত্র অধ্যয়ন করতেন। শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বৈষ্ণব দর্শন নিয়ে গভীর গবেষণা করেন। কর্মজীবন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু ইসকনের কর্মী হিসেবে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করেন। শ্রীল প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত ইসকনের নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনি সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসারে মনোনিবেশ করেন। পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করা, মন্দিরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা এবং ভক্তদের আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবনদর্শন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু বিশ্বাস করতেন, মানুষ প্রকৃত সুখ ও শান্তি পেতে পারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা এবং বৈষ্ণব আদর্শের চর্চার মাধ্যমে। তাঁর মতে, ধর্মের মূলে রয়েছে মানবসেবা, সহানুভূতি, এবং সত্যের সাধনা। তিনি বারবার বলেছেন, “আমাদের ধর্মের উদ্দেশ্য একমাত্র ভক্তি, যা মানবজাতিকে ভগবানের সঙ্গে যুক্ত করে। মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়েই প্রকৃত ধর্মের প্রকাশ ঘটে।” ধর্মীয় সেবা ও হিন্দু জাগরণে অবদান ১. মন্দির প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে বিভিন্ন ইসকন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। ২. ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার তিনি শ্রীমদ্ভাগবত গীতার শিক্ষা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সেমিনার, কর্মশালা এবং ধর্মীয় আলোচনা আয়োজন করতেন। ৩. সামাজিক কার্যক্রম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম, এবং অসহায়দের সহায়তায় কাজ করেছেন। ৪. হিন্দু সংস্কৃতি সংরক্ষণ জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা, এবং অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে তিনি হিন্দু ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। কেন গ্রেফতার হলেন? ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে “সনাতন জাগরণ মঞ্চ” নামে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ ওঠে, এই সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা জাতীয় পতাকা আইন লঙ্ঘন করেছে। মামলা ও অভিযোগ এই ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়। তবে তিনি দাবি করেছেন যে, এই ঘটনায় তাঁর কোনো সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু, যিনি ইসকনের চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি এবং হিন্দু ধর্মীয় সংগঠক, সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে একটি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। মামলাটি দায়ের করা হয় ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায়। অভিযোগ করা হয়েছে, ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মাঠে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এতে অভিযোগ ওঠে যে এটি দেশের জাতীয় পতাকার মর্যাদার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল। মামলার বিবরণ: প্রভুর বক্তব্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু বলেন, “আমাদের সমাবেশ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকার এবং ধর্মীয় চেতনার প্রচারের জন্য একটি উদ্যোগ ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।” গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারে সনাতন সম্প্রদায় এবং ইসকনের ভক্তদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সবাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে থাকে। সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ইসকনের প্রতিক্রিয়া ইসকনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “এই মামলা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং এটি সনাতন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” তাঁরা তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। ভক্তদের প্রতিক্রিয়া তাঁর গ্রেফতার ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মুক্তির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সাধারণ জনগণের মতামত এটি শুধু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ইস্যু নয়, বরং জাতীয় পতাকার মর্যাদা সংরক্ষণ সম্পর্কেও একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি এবং কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উপসংহার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবনধারা, কর্ম, এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এক অনুপ্রেরণা। যদিও সাম্প্রতিক গ্রেফতারের ঘটনা তাঁকে বিতর্কিত করেছে, তাঁর অবদান এবং কর্মধারা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট: ধর্মীয় নেতা এবং সমাজের নেতাদের কাজ শুধু ধর্মের প্রচারে নয়, বরং জাতীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাও জরুরি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জীবন থেকে আমরা মানবসেবা এবং আধ্যাত্মিকতাকে জীবনের মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার শিক্ষা পাই। তাঁর মুক্তি এবং সঠিক বিচার সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি ও সাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

ঢামেকের ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা । papia akter sorna 2024

(papia akter sorna) পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামের এক নারী নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিলেন। একনজরে papia akter sorna: বিষয় তথ্য পূর্ণ নাম পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর (প্রকাশিত তথ্য অনুসারে) পিতা তথ্য অজানা মাতা তথ্য অজানা ভাইবোন তথ্য অজানা শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই পেশা (কথিত) নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন বাসস্থান তথ্য অজানা অপরাধের ধরন ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণা আটক হওয়ার স্থান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বর্তমান অবস্থা পুলিশের হেফাজতে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার পরিচয় ও কর্মকাণ্ড পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা একজন সাধারণ নারী, যার চিকিৎসা বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। অথচ তিনি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করছিলেন। ঢামেকের পরিবেশে তার আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি, চিকিৎসকের মতো পোশাক এবং আচরণ রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীদেরও বিভ্রান্ত করেছিল। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীদের দেখতেন, প্রেসক্রিপশন দিতেন এবং নিজেকে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে উপস্থাপন করতেন। এই প্রতারণা কৌশল তিনি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: কীভাবে তিনি ধরা পড়লেন এই ঘটনা তখন প্রকাশ্যে আসে যখন হাসপাতালের প্রকৃত চিকিৎসকদের মধ্যে কেউ তার কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার দেওয়া চিকিৎসা পরামর্শ এবং আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, তার কোনো বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই এবং তিনি আসলে চিকিৎসা পেশার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনার প্রভাব পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার কর্মকাণ্ড শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়, বরং পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। রোগীদের নিরাপত্তা: একজন ভুয়া চিকিৎসকের হাতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি রোগীদের মধ্যে ভীতি ও অবিশ্বাস তৈরি করে। হাসপাতালের সুনাম: দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষের আস্থায় আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা পেশার প্রতি আস্থা হ্রাস: চিকিৎসক পেশা সবসময়ই সম্মানের জায়গায় ছিল। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা চিকিৎসা পেশার মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের প্রতারণার সামাজিক কারণ পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার মতো মানুষের কার্যক্রম আমাদের সমাজের কিছু গভীর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। সমাজে প্রতারণার এমন ঘটনা কীভাবে সম্ভব হলো, তার পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে: চিকিৎসা পেশার মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা: চিকিৎসক পেশাকে সামাজিক মর্যাদার শীর্ষে রাখা হয়। ফলে অনেকে সেই মর্যাদা পাওয়ার লোভে প্রতারণার পথ বেছে নেয়। তদারকির অভাব: বড় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর এমন ঘটনা ঘটতে দেয়। রোগীদের অসচেতনতা: সাধারণ মানুষ অনেক সময় চিকিৎসকদের সঠিক যোগ্যতা যাচাই না করেই তাদের কাছে সেবা নিতে বাধ্য হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে করণীয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার ঘটনা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরাপত্তা এবং রোগীদের সুরক্ষার দিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কঠোর তদারকি: সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের যোগ্যতা যাচাই করার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রতিটি চিকিৎসকের পরিচয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ডেটাবেস তৈরি করা উচিত, যা রোগীরা সহজেই যাচাই করতে পারবেন। সচেতনতা বৃদ্ধি: রোগীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে তারা কোনো চিকিৎসকের বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহ হলে প্রশ্ন তুলতে পারেন। আইন প্রয়োগ: প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। উপসংহার পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার এই প্রতারণার ঘটনা আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি প্রশাসনিক ত্রুটি এবং সামাজিক অসচেতনতার প্রতিফলন। তবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। চিকিৎসা পেশা মানবসেবার এক পবিত্র অঙ্গন। এ পেশায় শুধুমাত্র যোগ্য এবং সৎ ব্যক্তিরাই যেন কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

বৈভব সূর্যবংশী: ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা । Vaibhav Suryavanshi Rising star of Indian cricket

ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন উজ্জ্বল নাম হলো বৈভব সূর্যবংশী Vaibhav Suryavanshi। তার কঠোর পরিশ্রম, অদম্য মানসিকতা এবং ব্যাট ও বলের প্রতি ভালোবাসা তাকে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের অন্যতম ভরসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একনজরে: তথ্য বিস্তারিত পূর্ণ নাম বৈভব সূর্যবংশী জন্ম তারিখ (উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রকাশিত হয়নি) জন্মস্থান মহারাষ্ট্র, ভারত পিতা নাম জানা নেই (পেশায় কৃষক) মাতা নাম জানা নেই (গৃহিণী) ভাই-বোন তথ্য অপ্রকাশিত পেশা পেশাদার ক্রিকেটার খেলার ধরন অলরাউন্ডার ব্যাটিং শৈলী ডানহাতি বোলিং শৈলী ডানহাতি মিডিয়াম পেস প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ টি-টোয়েন্টি (সাল ও ম্যাচ নির্দিষ্ট নয়) আইপিএল দল নির্দিষ্ট দল জানা যায়নি বেস প্রাইস (আইপিএল) ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি (ধারণা) উল্লেখযোগ্য ইনিংস ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১৩৫* রান প্রিয় শখ বই পড়া এবং সঙ্গীত শোনা লক্ষ্য ভারতকে আরও বড় সাফল্য এনে দেওয়া Facebook Profile Click শৈশব ও প্রাথমিক জীবন মহারাষ্ট্রের একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বৈভব সূর্যবংশীর শৈশব কেটেছে সাদামাটাভাবে। তার পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত, যেখানে বাবা কৃষিকাজ করতেন এবং মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই বৈভব ক্রিকেটের প্রতি গভীর আকর্ষণ দেখান। তার প্রতিভা প্রথম নজরে আসে স্থানীয় স্কুল টুর্নামেন্টে। প্রথম দিকে খুবই সীমিত সুযোগ ছিল তার হাতে। গ্রামের ধুলোমাখা মাঠে কাঠের ব্যাট এবং টেনিস বল দিয়ে তার খেলার শুরু। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি কখনো তাকে দমাতে পারেনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে অনুশীলন করতেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু বৈভবের প্রতিভা প্রথম স্বীকৃতি পায় রাজ্য স্তরের একটি টুর্নামেন্টে। ওই ম্যাচে তার ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। রাজ্য ক্রিকেট দলে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একের পর এক দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের মন জয় করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার প্রথম মৌসুম ছিল অসাধারণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে ব্যাট এবং বল হাতে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। Read More: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক বৈভব সূর্যবংশীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ডেবিউ ম্যাচে তিনি ৩ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্য এবং মানসিক দৃঢ়তা সবাইকে মুগ্ধ করে। এরপর ওয়ানডে এবং টেস্ট দলে তার জায়গা পাকা হয়। তার প্রথম টেস্ট ইনিংসে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং ৩টি উইকেট নেওয়া তাকে একটি পাকা অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি দেয়। সাম্প্রতিক সাফল্য Vaibhav Suryavanshi highlights ২০২৩-২৪ মৌসুমের হাইলাইটস Vaibhav suryavanshi ipl 2025: বৈভবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইনিংসগুলোর মধ্যে একটি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, যেখানে তার অপরাজিত ১৩৫ রান ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়। আইপিএলে তার ১১০ রানের ইনিংস দলকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয়। ভৈবব সূর্যবংশী বেস প্রাইস Vaibhav suryavanshi ipl auction বৈভব সূর্যবংশীর বেস প্রাইস নিয়ে ধারণা করা যেতে পারে তার সাম্প্রতিক আইপিএল নিলামের পারফরম্যান্স এবং চাহিদা বিশ্লেষণ করে। সাধারণত ক্রিকেটারদের বেস প্রাইস নির্ধারণে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম, মাঠে অবদান, অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতে দলে অবদান রাখার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হয়। বৈভব, একজন উদীয়মান এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে, সাম্প্রতিক আইপিএল মৌসুমে বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তার এই সাফল্যকে মাথায় রেখে ধারণা করা যায়, তার বেস প্রাইস ৫০ লাখ থেকে ১ কোটির মধ্যে হতে পারে। তরুণ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য এই মূল্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। যদি বৈভব তার খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন এবং দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হন, তাহলে নিলামে তার দাম আরও বাড়তে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমন খেলোয়াড়দের পেতে অনেক সময় বেস প্রাইসের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতেও প্রস্তুত থাকে। খেলার ধরন ও কৌশল বৈভব সূর্যবংশীর খেলার ধরন অত্যন্ত আধুনিক। তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে পারেন। তার ফুটওয়ার্ক শক্তিশালী, যা তাকে স্পিনারদের বিরুদ্ধে কার্যকর করে তোলে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে বৈভবের সঠিক লাইন-লেংথ এবং সুইং দক্ষতা তাকে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে উভয় ফরম্যাটেই বিপজ্জনক করে তোলে। পাওয়ার-প্লে এবং ডেথ ওভারে তার বোলিং দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের পথচলা যে কোনো ক্রিকেটারের মতোই বৈভবের জীবনেও চ্যালেঞ্জ এসেছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে তার হাঁটুর ইনজুরি তাকে কয়েক মাস মাঠের বাইরে রাখতে বাধ্য করেছিল। তবে তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসেন। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ এবং প্রত্যাশার ভার সামলাতে তিনি মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং ফোকাস তাকে সবসময় এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবন ও শখ বৈভব সূর্যবংশী একজন পরিবারের প্রতি নিবেদিত মানুষ। তিনি তার সাফল্যের জন্য সবসময় তার বাবা-মা এবং কোচের প্রতি কৃতজ্ঞ। খেলাধুলার বাইরে তিনি বই পড়া এবং সঙ্গীত শুনতে ভালোবাসেন। তিনি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও যুক্ত, বিশেষ করে তরুণদের ক্রিকেটে উৎসাহিত করার জন্য একটি একাডেমি চালু করেছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বৈভবের লক্ষ্য ভারতের হয়ে আরও বড় শিরোপা জয় করা। তিনি বিশ্বকাপে সেরা পারফর্মার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তাছাড়া, আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ এবং সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। উপসংহার বৈভব সূর্যবংশীর জীবন এবং ক্যারিয়ার আমাদের শিখিয়ে দেয় যে কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং সঠিক মনোভাব একজনকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তার প্রতিভা এবং মনোভাব ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বৈভব সূর্যবংশী কেবল একটি নাম নয়; এটি প্রতিটি তরুণের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক।

নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার কে ? কেন তাকে এই নামে ডাকা হয় ? Why is Nijhoom Majumder called Harpik Majumdar 2024?

Nijhoom Majumder একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক এবং গবেষক, যিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার পেশাগত দক্ষতার জন্য পরিচিত। তিনি আইন এবং মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। নিঝুম তার লেখনীতে ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেন। একনজরে Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার: পূর্ণ নাম  Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার বিকৃত নাম  হারপিক মজুমদার পিতা  অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার মজুমদার (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী) মাতা  জানা যায়নি স্ত্রী  লিসা সন্তান  পুত্র ইথান এবং কন্যা ফিওনা নিঝুম মজুমদারের শ্বশুর জানা যায়নি জন্ম তারিখ  জানা যায়নি ফেসবুক নাম  Nijhoom Majumder-নিঝুম মজুমদার বাড়ি  তিনি বাংলাদেশের হলেও বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। পেশা  আইনজীবী, লেখক, গবেষক। উচ্চতা  জানা যায়নি ওজন  জানা যায়নি বয়স  সরাসরি উল্লেখ নেই, তবে মধ্যবয়স্ক বলে ধারণা। ফেসবুক পেজ লিংক  ক্লিক করুন ইনস্টাগ্রাম লিংক  জানা যায়নি ইউটিউব লিংক  জানা যায়নি ওয়েবসাইট লিংক  ক্লিক করুন জিমেইল  nijhoommajumder.fb@gmail.com মোবাইল নং +44 7447 526971 নিঝুম মজুমদার ধর্ম ইসলাম জন্ম এবং শিক্ষাজীবন: নিঝুম মজুমদারের শৈশব কেটেছে একটি শিক্ষিত পরিবারে, যেখানে তার পিতা গোলাম সারওয়ার মজুমদার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখি এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং যুক্তরাজ্যে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। পেশাগত জীবন: নিঝুম মজুমদার একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্ট এবং নিউজিল্যান্ড হাইকোর্টের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। নিঝুম মজুমদার বই: নিঝুম মজুমদার তার লেখনীতে মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তার বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— তার লেখাগুলোতে ঐতিহাসিক সত্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মিলেমিশে একটি সমৃদ্ধ কাঠামো তৈরি করে। Read More: পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবন: নিঝুম মজুমদার ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি। তার স্ত্রী লিসা, পুত্র ইথান এবং কন্যা ফিওনার সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। পরিবারের পাশাপাশি তার পেশাগত এবং সাহিত্যিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষায় তিনি প্রশংসিত। প্রভাব এবং অবদান: নিঝুম মজুমদারের বই এবং গবেষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার কাজগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঠিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চিত্র উপস্থাপন করেছে। নিঝুম মজুমদারকে হারপিক মজুমদার কেন বলা হয়: নিঝুম মজুমদারকে “হারপিক মজুমদার” নামে ডাকার কারণ বেশ কয়েকটি। মূলত, এটি একটি উপহাসমূলক নাম, যা তার কিছু বিতর্কিত মন্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি ধর্ম, সমাজ, এবং রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়েছেন এবং সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ১. ধর্মীয় বিতর্ক ও সমালোচনা: নিঝুম মজুমদার বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা অনেকের কাছে আপত্তিজনক এবং কটূক্তিমূলক মনে হয়েছে। বিশেষ করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য তিনি সমালোচিত হন। এটি একটি বড় কারণ, যার জন্য তাকে বিদ্রূপ করে এই নাম দেওয়া হয়। ২. বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ: তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে মতামত দেন। এ ধরনের মতামত প্রায়ই বিতর্ক সৃষ্টি করে। এর ফলে অনেকে মনে করেন, তিনি শুধু আলোচনায় থাকার জন্য বিভিন্ন ইস্যুতে “নাক গলান”। ৩. হারপিক উপমা: “হারপিক মজুমদার” নামটি তার সমালোচকদের দেওয়া, যা একটি পরিচ্ছন্নতার পণ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে। সমালোচকরা বোঝাতে চান যে তিনি বিতর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনাকে “পরিষ্কার” করার চেষ্টা করেন, কিন্তু এটি প্রায়শই উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। উপসংহার: নিঝুম মজুমদার একজন প্রখ্যাত আইনজীবী, লেখক এবং গবেষক, যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাস করছেন এবং তার পিতার মতো আইনজীবী পেশায় সফল। তার লেখনী এবং পেশাগত জীবন বাংলাদেশের সমাজ ও আইন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। নিঝুম মজুমদারের কাজ বিশ্বব্যাপী তার চিন্তা-ভাবনা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করছে।

মোটরসাইকেলের জন্য কোন মবিল ভালো ? ইঞ্জিন অয়েল জেনুইন রিভিউ । motorcycle mobil or engine oil Review 2025

বর্তমানে মোটরসাইকেল নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আর বাইক আছে মানে তার জন্য তেল, মবিল/ইঞ্জিন অয়েল/লুব্রিকেন্ট/motorcycle mobil কিনতেই হয়। তাই বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্রান্ডের মবিল ক্রয় করে থাকেন। তবে খুব কম লোকই আছেন যারা জেনে বুঝে মবিল/ইঞ্জিন অয়েল/লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করি। আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পারবেন কোনটি ভাল মানের মবিল, কেন উঠাবেন, কত কি.মি. চালাবেন, দাম কেমন ইত্যাদি। তো চলুন শুরু করি…. কোন motorcycle mobil মবিল কিনবেন, কেন কিনবেন ? বাজারে অনেক নামী ব্রান্ডের মবিল কিনতে পাওয়া যায়। যেমন: সুপারভি, মতুল, হ্যাভোলিন, এপিঅয়েল, সাউদি, ফুক্স, হোন্ডা, ইয়ামাহা, হিরো, ক্যাস্ট্রল, ফোরটি প্রভৃতি। আমি একজন বাইক চালক হিসেবে উপরের সকল ব্রান্ড ব্যবহার করে দেখেছি। উপরের কোন ব্রান্ডে আমি বর্তমান ব্রান্ডের মত মশৃণতা পাইনি। হ্যাঁ, সেই কাঙ্খিত ব্রান্ডের নাম-ভিসকো 3000 । জানিনা বিশ্বাস করবেন কিনা, আপনি যদি এখনও এটি আপনার গাড়িতে উঠিয়ে না থাকেন তবে আমার কথা শুনে একবার উঠিয়ে চালিয়ে দেখুন। আমি দালালি করছিনা। আপনি অন্য সব ব্রান্ড ভুলে যেতে বাধ্য হবেন। আর সবথেকে বড় কথা এটি সাশ্রয়ীও। কারণ আপনি এটি ৩০০০ কি.মি. অনায়াসে চালাতে পারবেন। আমি চালিয়েছি জানি। 2000 কি.মি. চালানোর পরও ইঞ্জিনের গীয়ার পরিবর্তনের মশৃণতা এতটুকু পরিবর্তন পাইনি। মনে হয় যেন মবিল নতুনই আছে। অন্য ব্রান্ড দেখবেন ১০০০ চালানোর পরই গীয়ার চেঞ্জের সময় খট খট শব্দ করে, মনে হয় ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু ভিসকোতে শুধু মধুই মধু। এটি মুলত একটি মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল। এর অনকে ভেরিয়েন্ট আছে। যেমন: 10w30, 10w40, 20w40, 20w50 আরও অনেক। এটার কোনটা আপনার গাড়ির জন্য দরকার, কেন দরকার, কিভাবে বুঝবেন তা জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আমার আরও ব্লগ পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল: গুরুত্ব, ধরণ, এবং সঠিক ব্যবহারের পরামর্শ মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল বা লুব্রিকেন্ট মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের মসৃণ ও দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক মানের এবং পরিমাণের ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব, কর্মক্ষমতা, এবং জ্বালানি দক্ষতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই নিবন্ধে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সঠিক ব্যবহারের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা কেন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি? ইঞ্জিন অয়েল মূলত মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ভেতরের অংশগুলোকে লুব্রিকেট করে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এর প্রধান কাজগুলো হলো: লুব্রিকেশন বা তেলাক্তকরণ: ইঞ্জিনের চলমান অংশগুলোকে মসৃণভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, ফলে অংশগুলোর মধ্যে ঘর্ষণ কমে আসে। এই ঘর্ষণ কমানোর ফলে ইঞ্জিনের অংশগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ওভারহিটিং এড়ানো যায়। ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখা: ইঞ্জিনের অভ্যন্তরে কাজ করার সময় প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিন অয়েল এই তাপকে শুষে নিয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ময়লা অপসারণ: ইঞ্জিনের ভেতরে উৎপন্ন ধূলিকণা এবং অন্যান্য ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যা ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। জং প্রতিরোধ: ইঞ্জিনের ধাতব অংশগুলোকে জং থেকে রক্ষা করে, যা ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল বাড়ায়। মোটরসাইকেল ইঞ্জিন অয়েলের ধরন বাজারে সাধারণত তিন ধরনের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। সেগুলো হলো: মিনারেল অয়েল: এই ধরনের অয়েল প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি করা হয়। মিনারেল অয়েল সাধারণত পুরনো বা কম পারফরম্যান্সের ইঞ্জিনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা হলেও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বা আধুনিক ইঞ্জিনের জন্য উপযুক্ত নয়। সেমি-সিন্থেটিক অয়েল: এটি মিনারেল এবং সিন্থেটিক অয়েলের মিশ্রণ। সেমি-সিন্থেটিক অয়েল স্বাভাবিক ইঞ্জিনের জন্য কার্যকর এবং মিনারেল অয়েলের চেয়ে বেশি স্থায়িত্ব প্রদান করে। সিন্থেটিক অয়েল: এটি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত, যা ইঞ্জিনের ভেতরের তাপ ও চাপ সহ্য করতে সক্ষম। আধুনিক ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের জন্য সিন্থেটিক অয়েল আদর্শ। ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড ও পুরুত্ব ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড সাধারণত SAE (Society of Automotive Engineers) মানদণ্ড অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, SAE 10W-40 একটি সাধারণ ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড। এই ক্ষেত্রে “10W” ঠান্ডা আবহাওয়ায় অয়েলের পুরুত্ব এবং “40” গরম অবস্থায় অয়েলের পুরুত্ব নির্দেশ করে। সঠিক গ্রেড নির্বাচন করতে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি: আবহাওয়া: ঠান্ডা অঞ্চলে হালকা বা পাতলা অয়েল যেমন 10W-30, এবং গরম অঞ্চলে পুরু অয়েল যেমন 20W-50 ব্যবহার করা উচিত। ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয়তা: প্রতিটি ইঞ্জিনের গঠন ও চাহিদা ভিন্ন, তাই ম্যানুয়াল অনুযায়ী সঠিক গ্রেডের অয়েল ব্যবহার করতে হবে। ইঞ্জিন অয়েলের সঠিক পরিমাণ এবং প্রতিস্থাপন ইঞ্জিন অয়েলের পরিমাণ সঠিকভাবে মেনে চলা ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল এবং কর্মক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত অয়েল ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের ভেতরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়, আবার কম ব্যবহার করলে ঘর্ষণ বেড়ে যায়। ইঞ্জিনের ম্যানুয়াল অনুযায়ী অয়েলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রত্যেক মোটরসাইকেল কোম্পানী নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মবিল ব্যবহার করা উচিত। বেশি দিলে ইঞ্জিন বেশি গরম ও কম দিলে ঘর্ষনের ফলে ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রতিস্থাপনের সময় ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময় ইঞ্জিনের ধরণ ও মোটরসাইকেলের ব্যবহার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। সাধারণত বাজারের বিভিন্ন 500-550 টাকা দামের ১ লিটার বোতলের মবিলগুলো প্রতি 1000-1500 কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা উচিত। তবে ভিসকো 3000 এর ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে 3000 কি.মি. চালাতে পারবেন কোন সন্দেহ ছাড়াই। ইঞ্জিন অয়েলের সঠিক ব্যবহার: কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ সঠিকভাবে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের জন্য নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করা উচিত: নিয়মিত অয়েল লেভেল চেক করুন: মোটরসাইকেল চালানোর আগে প্রতিদিন ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল পরীক্ষা করা জরুরি। মানসম্মত অয়েল ব্যবহার করুন: স্থানীয় মানহীন ব্র্যান্ডের অয়েল ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্র্যান্ডেড ও মানসম্পন্ন অয়েল ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। ইঞ্জিনের ধরনের উপর ভিত্তি করে অয়েল নির্বাচন করুন: রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ চালানোর জন্য উচ্চ ভিস্কোসিটির অয়েল নির্বাচন করা উচিত। সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন প্রতিটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন আলাদা, তাই এর চাহিদাও ভিন্ন। সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন করা হলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বাড়ানো সম্ভব। সঠিক ইঞ্জিন অয়েল/মবিল হিসেবে নি:সন্দেহে ভিসকো 3000 নিন। অন্য সব ব্রান্ড ভুলে যাবেন আশা করি। যদি আপনার নতুন গাড়ী হয়ে থাকে তবে 10w40 নিয়ে ৩০,০০০০ কি.মি. পর্যন্ত চালান। তারপর গ্রেড চেঞ্জ করে 20w50 তুলে চালাতে থাকুন। ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে কিছু ভুল ধারণা ইঞ্জিন অয়েল সম্পর্কিত কয়েকটি ভুল ধারণা রয়েছে যা মোটরসাইকেলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন: প্রায়ই অয়েল পরিবর্তন করা ভালো: ম্যানুয়াল অনুযায়ী অয়েল পরিবর্তনই যথেষ্ট। বারবার অযথা অয়েল পরিবর্তন করলে ইঞ্জিনে সমস্যা হতে পারে। বেশি পুরু অয়েল সবসময় ভালো: বেশি পুরু অয়েল সব ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী নয়। প্রতিটি ইঞ্জিনের জন্য সঠিক ভিস্কোসিটি অনুযায়ী অয়েল প্রয়োজন। কমদামি অয়েল সাশ্রয়ী: কম দামের মানহীন অয়েল ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। উপসংহার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল সঠিকভাবে নির্বাচন ও ব্যবহারের মাধ্যমে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা, আয়ুষ্কাল এবং জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। ইঞ্জিনের ধরন, পরিবেশ এবং ম্যানুফ্যাকচারারের নির্দেশিকা অনুসারে সঠিক অয়েল নির্বাচন করলে মোটরসাইকেলের পারফরম্যান্স বাড়বে এবং ইঞ্জিন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের জীবনী- সফলতা, অবদান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা । Biography of Bangladesh Football Federation (BAFF) President Tabith Awal 2024

তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal)

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal)। কে তিনি ? কি তার পরিচয় ? পিতা, মাতা, শিক্ষাজীবন, বিবাহিত জীবন, রাজনৈতিক দর্শন ? সবকিছু একসাথে চলুন জেনে নিই.. একনজরে তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal): পূর্ণ নাম বা তাবিথ আউয়াল কে  তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল (Tabith Mohammed Awal) ডাকনাম  তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal) পিতা  আবদুল আউয়াল মিন্টু মাতা  নাসরীন ফাতেমা আউয়াল স্ত্রী  জানা যায়নি সন্তান  জানা যায়নি জন্ম তারিখ  ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক নাম  Tabith Awal বাড়ি  চকবাজার, ঢাকা পেশা  রাজনীতিবীদ উচ্চতা  ৬ ফুট+ ওজন  ৭৫ কেজি+ বয়স  ৪৫ বছর+ ফেসবুক পেজ লিংক  ক্লিক ইনস্টাগ্রাম লিংক  ক্লিক ইউটিউব লিংক  ক্লিক ওয়েবসাইট লিংক  ক্লিক জিমেইল adommodhk@gmail.comtabithawal2015@gmail.com তাবিথ আউয়াল এর পরিচয় প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা তাবিথ আউয়াল ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, আবদুল আউয়াল মিন্টু, একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী, এবং মা, নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী। তাবিথ ঢাকায় শৈশব কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবন ও উদ্যোগ দেশে ফিরে তাবিথ আউয়াল ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সাফল্যের জন্য তিনি সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং আইপে নামে দেশের প্রথম ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। নতুন ধরনের বীজ উৎপাদন ও গবেষণায় অবদান রাখার পাশাপাশি ২০১১ সালে তিনি পশুপালন শিল্পে যুক্ত হন এবং ২০১৪ সালে ভোলার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন। রাজনৈতিক জীবন তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ২০১৫ ও ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হন। শহরের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন জনসেবাকে মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরে রাখে। তাবিথ মনে করেন, দেশের উন্নতি ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি একটি কার্যকরী মাধ্যম। Read More: ব্যবসায়িক কার্যক্রম তাবিথ আউয়াল মাল্টিমোড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, যা দেশের বিভিন্ন শিল্পে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে গ্রুপটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাবিথ ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সফলতা অর্জনের জন্য সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি দেশের প্রথম ওয়্যারলেস যোগাযোগ সংস্থা ও ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম, আইপে, চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরিচালন দক্ষতার মাধ্যমে তাবিথ বাংলাদেশের শিল্প খাতকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান পদেও কর্মরত ছিলেন। ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ফুটবলপ্রেমী তাবিথ আউয়াল খেলার জগতে এক বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছেন। ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তাবিথ ফেনী সকার ক্লাবের মালিক ছিলেন এবং বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিশ্বাস, ফুটবল যুবসমাজকে উৎসাহিত করে এবং তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পথ তৈরি করে। সমাজসেবা ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় তাবিথ আউয়াল সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নতিতে তাঁর প্রচেষ্টা তাঁকে দেশের একজন নিবেদিত মানবতাবাদী হিসেবে পরিচিত করেছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, যা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান আরো বিস্তৃত করতে চান। ব্যবসা, রাজনীতি, ও সমাজসেবা—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং দেশের মানুষকে উন্নত জীবন নিশ্চিত করা, যার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। সম্মাননা দেশের ব্যবসা, রাজনীতি, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তাবিথ আউয়াল বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। উপসংহার: তাবিথ আউয়াল একজন সফল ব্যবসায়ী, সচেতন রাজনীতিক এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিশিষ্ট একজন ব্যক্তিত্ব। মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে শিল্পখাতে পরিবর্তন আনা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে জনগণের সেবা করা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তায় অবিচল থাকার মাধ্যমে তিনি নিজেকে সৎ এবং সফল এক নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাঁর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিচ্ছবি।

© whoisviralbd.com 2025 All Rights Reserved.