সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal)। কে তিনি ? কি তার পরিচয় ? পিতা, মাতা, শিক্ষাজীবন, বিবাহিত জীবন, রাজনৈতিক দর্শন ? সবকিছু একসাথে চলুন জেনে নিই..

সূচী:
একনজরে তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal):
পূর্ণ নাম বা তাবিথ আউয়াল কে | তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল (Tabith Mohammed Awal) |
ডাকনাম | তাবিথ আউয়াল (Tabith Awal) |
পিতা | আবদুল আউয়াল মিন্টু |
মাতা | নাসরীন ফাতেমা আউয়াল |
স্ত্রী | জানা যায়নি |
সন্তান | জানা যায়নি |
জন্ম তারিখ | ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি |
ফেসবুক নাম | Tabith Awal |
বাড়ি | চকবাজার, ঢাকা |
পেশা | রাজনীতিবীদ |
উচ্চতা | ৬ ফুট+ |
ওজন | ৭৫ কেজি+ |
বয়স | ৪৫ বছর+ |
ফেসবুক পেজ লিংক | ক্লিক |
ইনস্টাগ্রাম লিংক | ক্লিক |
ইউটিউব লিংক | ক্লিক |
ওয়েবসাইট লিংক | ক্লিক |
জিমেইল | adommodhk@gmail.com tabithawal2015@gmail.com |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
তাবিথ আউয়াল ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, আবদুল আউয়াল মিন্টু, একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী, এবং মা, নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী। তাবিথ ঢাকায় শৈশব কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন ও উদ্যোগ
দেশে ফিরে তাবিথ আউয়াল ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সাফল্যের জন্য তিনি সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং আইপে নামে দেশের প্রথম ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। নতুন ধরনের বীজ উৎপাদন ও গবেষণায় অবদান রাখার পাশাপাশি ২০১১ সালে তিনি পশুপালন শিল্পে যুক্ত হন এবং ২০১৪ সালে ভোলার জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন।
রাজনৈতিক জীবন

তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ২০১৫ ও ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হন। শহরের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন জনসেবাকে মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরে রাখে। তাবিথ মনে করেন, দেশের উন্নতি ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি একটি কার্যকরী মাধ্যম।
- তাইজুল ইসলাম: একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী ক্রিকেটার
- ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: হিন্দু জাগরণ ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত
- ঢামেকের ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা । papia akter sorna 2024
- বৈভব সূর্যবংশী: ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা । Vaibhav Suryavanshi Rising star of Indian cricket
- নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার কে ? কেন তাকে এই নামে ডাকা হয় ? Why is Nijhoom Majumder called Harpik Majumdar 2024?
ব্যবসায়িক কার্যক্রম
তাবিথ আউয়াল মাল্টিমোড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, যা দেশের বিভিন্ন শিল্পে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে গ্রুপটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাবিথ ২০০৪ সালে কার্বন রড রপ্তানিতে সফলতা অর্জনের জন্য সরকারের স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই বছরে তিনি দেশের প্রথম ওয়্যারলেস যোগাযোগ সংস্থা ও ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম, আইপে, চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। উদ্ভাবনী চিন্তা ও পরিচালন দক্ষতার মাধ্যমে তাবিথ বাংলাদেশের শিল্প খাতকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান পদেও কর্মরত ছিলেন।
ফুটবলের প্রতি আগ্রহ
ফুটবলপ্রেমী তাবিথ আউয়াল খেলার জগতে এক বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছেন। ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তাবিথ ফেনী সকার ক্লাবের মালিক ছিলেন এবং বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিশ্বাস, ফুটবল যুবসমাজকে উৎসাহিত করে এবং তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পথ তৈরি করে।
সমাজসেবা
ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় তাবিথ আউয়াল সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নতিতে তাঁর প্রচেষ্টা তাঁকে দেশের একজন নিবেদিত মানবতাবাদী হিসেবে পরিচিত করেছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, যা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান আরো বিস্তৃত করতে চান। ব্যবসা, রাজনীতি, ও সমাজসেবা—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং দেশের মানুষকে উন্নত জীবন নিশ্চিত করা, যার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন।
সম্মাননা
দেশের ব্যবসা, রাজনীতি, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তাবিথ আউয়াল বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।
উপসংহার:
তাবিথ আউয়াল একজন সফল ব্যবসায়ী, সচেতন রাজনীতিক এবং মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিশিষ্ট একজন ব্যক্তিত্ব। মাল্টিমোড গ্রুপের মাধ্যমে শিল্পখাতে পরিবর্তন আনা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে জনগণের সেবা করা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তায় অবিচল থাকার মাধ্যমে তিনি নিজেকে সৎ এবং সফল এক নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাঁর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিচ্ছবি।
প্রশ্ন: তাবিথ আউয়াল এর পরিচয় ?
তাবিথ আউয়াল ১৯৭৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, আবদুল আউয়াল মিন্টু, একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী, এবং মা, নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী।
প্রশ্ন: তাবিথ আউয়াল এর বয়স ?
৪৫ বছরের একটু বেশি
প্রশ্ন: তাবিথ আউয়াল এর স্ত্রী ?
জানা যায়নি