ডাক বিভাগ যেন মগের মল্লুক। (post master scam bd) আত্মস্মাতের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও নিয়মে কোন পরিবর্তন আনেনা বা অনলাইন হয়না ডাক বিভাগ। তাদের মোটো “ধরিবো মাছ খাইবো সুখে, কি আনন্দ লাগিছে বুকে”!
সূচী
সম্প্রতি অর্থআত্মসাৎকারীদের নতুন নামের সাথে যুক্ত হয়েছে ডাক বিভাগের নাম। ডাক বিভাগের উপজেলা/থানাস্থ পোস্ট অফিস সমূহে কর্মরত পোস্টমাস্টারেরা যুক্ত হয়েছেন এই আত্মসাৎ মহোৎসবে। ডাক বিভাগ সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, সঞ্চয়ী হিসাব প্রভৃতি বিভিন্ন প্যাকেজে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের থেকে বিভিন্ন মেয়াদে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। সরকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এর উপরে মানুষের পূর্বাস্থা আছে। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নেই এর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক উন্নতি। পূর্বের মতন হাতে কলমে চলে সকল কার্যক্রম। পোস্ট অফিসের সকল ধরনের আমানত গ্রহণ করা, রেজিস্টার ভুক্ত করা, ব্যাংকে জমা দেওয়া ও উত্তোলন প্রভৃতি সকল কাজ করেন একজন পোস্ট মাস্টার। এখানেই সুযোগ নেন পোস্টমাস্টার।
- তাইজুল ইসলাম: একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী ক্রিকেটার
- ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: হিন্দু জাগরণ ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত
- ঢামেকের ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা । papia akter sorna 2024
- বৈভব সূর্যবংশী: ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা । Vaibhav Suryavanshi Rising star of Indian cricket
- নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার কে ? কেন তাকে এই নামে ডাকা হয় ? Why is Nijhoom Majumder called Harpik Majumdar 2024?
কোন কিছু অনলাইন না হওয়ায় গ্রাহকের আমানত বা বিমা ইচ্ছামত তিনি রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন আবার না করে নিজ পকেটেও পুরতে পারেন। একজন গ্রাহক যখন কোন হিসাব খোলেন তাকে একটি হাতে লিখা বই দেওয়া হয়। সেই বইয়ে পোস্টমাস্টার বিমার টাকা/অন্য আমানতের তথ্য অন্তর্ভূক্ত করলেন কিন্তু রেজিস্টারে করলেন না। আবার টাকা পাবার ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের কুখ্যাতি রয়েছে। যেমন কেও যদি মেয়াদ পূর্তি বা তার আগে আমানত ফেরত নিতে চান তাহলে নানা বাহানায় তাকে ০১-০৩ মাস পর্যন্ত দেরী করানো হয়। যা ডাক বিভাগের সকল গ্রাহক মেনে নিয়েছেন বা জানেন বলা চলে। এখানে আরেকটা সুযোগ পান পোস্ট মাস্টার। এই সুযোগে তিনি একসাথে বিভিন্ন গ্রাহকের বিরাট অঙ্কের অর্থ একসঙ্গে উত্তোলন করে সহজেই গা ঢাকা দিতে পারেন।
ঘটনা ০১ (post master scam bd)
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে পাবনার সাতবাড়িয়া এলাকার পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান মোহাম্মদ নূর হোসেন বকুল ও পোস্ট মাস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ।
ঘটনা ০২
পটুয়াখালীর বগাবন্দর ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের সাব পোস্ট মাস্টার আব্দুল ওহাব।
ঘটনা ০৩
রাজশাহীর তানোর উপজেলার, তানোর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার মকসেদ/মুকছেদ/মকছেদ আলীর নাম অন্যতম।
প্রত্যেক আত্মসাৎ কান্ডেই দেখা যায় একটি তদন্ত কমিটি যারা এসে পোস্টমাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন, এরপর থানায় জিডি করেন ও ঘটনার তদন্ত করে সাংবাদিকদের নিয়ে ভুক্তভোগীদের অর্থ ফেরত দেবার আশ্বাস প্রদান করে চলে যান। কিন্তু আজ অব্দি কেও অর্থ ফেরত পেয়েছেন বলে জানা যায়না। মূলত এগুলো ডাক বিভাগের একরকম উদাসীনতা ও সঠিক শাস্তি বিধান করতে না পারার ফল। কেন তারা বাদী হয়ে মামলা করেন না বা অভিযুক্তদের দৃশ্যমাণ কোন শাস্তির আওতায় আনেন না তা জানা যায়না।
উপরোক্ত কয়েকটি ঘেটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ঘটনাগুলি একটি আরেকটিকে সাহস জুগিয়েছে। যখন প্রথম ঘটনার পরে অভিযুক্তের বড় কোন সাজা হয়নি, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে তা দেখে পরের জন উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং সেও একই কাজ করেছে। এ থেকে বোঝা যায় ডাক বিভাগের নিয়মতান্ত্রিক তদারকির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও যেখানে রর্তমানে দেশের একটি সাধারণ ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে সেখানে ডাক বিভাগ আজও মানধাতার আমলের মত হাতে কলমে কাজ করে এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা হতে ইচ্ছা করেই শিক্ষা গ্রহণ না করে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চলে। যেন কেও দেখার নেই, কারো কিছু করার নেই। এর গ্রাহকের আমানতের নেই কোন মূল্য, নেই কোন গুরুত্ব। তাই সময় থাকতে এখনি পোস্ট অফিস হতে সকল অর্থ উত্তোলন করে পোস্ট অফিস বয়কট করুন। আর হ্যাঁ টাকা উঠানোর আগে মূল বই/রশিদ প্রদান করবেন না। শুধুমাত্র ফটোকপি প্রদান করুন। টাকা দেবার আগে মূলকপি চাইলে থানায় যোগাযোগ করুন।
তানোরে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকৃত পোস্ট মাস্টারের নাম কি ? (post master scam bd)
মকছেদ আলী/মুকছেদ আলী/মকসেদ আলী
তানোরে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকৃত পোস্ট মাস্টারের বাড়ি কোথায়?
রাজশাহী নওদাপাড়া
তানোরে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকৃত পোস্ট মাস্টারের পরিবারে কে কে আছে ?
স্ত্রী ও বিবাহিতা কন্য