amar gram amar sohor মূলত প্রায় ৮০০ কোটি টাকার গ্রাম উন্নয়ণ প্রকল্প যার মাধ্যমে শুরুতে পাইলট আকারে ০৮ টি জেলায় ১৫ টি গ্রাম উন্নয়ন শুরু হবে।
সূচী:
কি এই প্রকল্প:
আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শহরের সকল সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় গত ১০/০৭/২০২৩ ইং তারিখে আমার গ্রাম, আমার শহর (amar gram amar sohor) শীর্ষক প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশব্যাপী মোট ১৫ টি গ্রামে প্রথমত এটি পাইলট আকারে শুরু করা হবে তারপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন গ্রামে শুরু করা হবে। চলুন জেনে নিই আপনার এলাকায় কোন গ্রামে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প..
কোথায় শুরু হচ্ছে প্রকল্প:
নিম্নোক্ত জেলার গ্রামগুলোতে শুরু হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর (amar gram amar sohor) প্রকল্প:
ক্র: নং: | স্থান |
০১ | কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের শাকচাইল |
০২ | খুলনার ডুমুরিয়ার টিপনা |
০৩ | সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালি |
০৪ | সুনামগঞ্জের শিমুলবাঁক |
০৫ | নওগাঁর নিয়ামতপুরের খোরদো চম্পা |
০৬ | চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের চরশরত |
০৭ | রাঙ্গামাটির বরকলের ছোট হরিণা |
০৮ | সিলেটের গোয়াইনঘাটের বাগাইয়া |
০৯ | রাজশাহী বাগমারার সোনাডাঙ্গা |
১০ | কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি |
১১ | গাইবান্ধার ফুলছড়ি |
১২ | বরিশালের হিজলার ইন্দুরিয়া |
১৩ | গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বিলচান্দা |
১৪ | নরসিংদীর মনোহরদীর হাফিজপুর |
১৫ | নেত্রকোনার বারহাট্টার দক্ষিণ ডেমুরা |
আমার আরো ব্লগ পড়ুন:
- তাইজুল ইসলাম: একজন প্রতিভাবান বাংলাদেশী ক্রিকেটার
- ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু: হিন্দু জাগরণ ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত
- ঢামেকের ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা: এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা । papia akter sorna 2024
- বৈভব সূর্যবংশী: ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা । Vaibhav Suryavanshi Rising star of Indian cricket
- নিঝুম মজুমদার-হারপিক মজুমদার কে ? কেন তাকে এই নামে ডাকা হয় ? Why is Nijhoom Majumder called Harpik Majumdar 2024?
প্রকল্পের সুবিধাসমূহ:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (২০১৮) আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের বিশেষ অঙ্গীকার ছিল ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ (amar gram amar sohor)। অনেকে হয়ত ভাবছেন গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। তবে মূলত তা নয়। তবে কিছুটা তাই। মূলত গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ,গ্রামপ্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, খাল খনন ও পুকুর খনন, বিদ্যুত সংযোগ, ইন্টারনেট সংযোগ, রাস্তার বাতি, গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োগ্যাস উৎপাদন, সড়ক বনায়ন, পাইপ লাইনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, টিউবয়েল নির্মাণ, স্যানিটেশন, বন্ধু চুলা নির্মাণ, হাটবাজার নির্মাণ, কবরস্থান ও ঈদগাহের সংস্কার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণ, যুবদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে একটি আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এই প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই নিজেদের জমিতে প্লান করে মডেল আকারে আবাসন (ঘরবাড়ি) তৈরী করা হবে। প্রথমিক তথ্য অনুযায়ী, তিনটি গ্রামে ৬৮টি চারতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। জমি এবং ১০ শতাংশ অর্থ উপকারভোগী দেবেন এবং বাকি ৯০ শতাংশ অর্থ সুদমুক্ত কিস্তিতে ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে।
কর্মসংস্থান:
মানুষের গ্রাম থেকে শহরে আসার বড় কারণ গ্রাসে কর্মসংকট। গ্রামে কাজের সুযোগ সীমিত, বাড়তি আয়ের কারণে শহরে মানুষ আসে। তাই গ্রাম উন্নয়নে নেওয়া “আমার গ্রাম, আমার শহর“ (amar gram amar sohor) প্রকল্পে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার ১০০ বেকার তরুণকে জীবনমান উন্নয়নে পেশাভিত্তিক হস্তশিল্প ও কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরো জানতে এই লিংক থেকে বই ডাউনলোড করে পড়তে পারেন
প্রশ্ন: আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পটি কি ?
উত্তর: এটি মূলত প্রায় ৮০০ কোটি টাকার গ্রাম উন্নয়ণ প্রকল্প যার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পাইলট আকারে ০৮ টি জেলায় ১৫ টি গ্রাম উন্নয়ন শুরু হবে। পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রশ্ন: কোথায় শুরু হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প ?
উত্তর: প্রাথমিক ভাবে ০৮ টি জেলায় ১৫ টি গ্রামে পাইলট আকারে এটি শুরু হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে উপরে ব্লগ পড়ুন।
প্রশ্ন: আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের সুবিধা কি ?
উত্তর: গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ,গ্রামপ্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, খাল খনন ও পুকুর খনন, বিদ্যুত সংযোগ, ইন্টারনেট সংযোগ, রাস্তার বাতি, গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োগ্যাস উৎপাদন, সড়ক বনায়ন, পাইপ লাইনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, টিউবয়েল নির্মাণ, স্যানিটেশন, বন্ধু চুলা নির্মাণ, হাটবাজার নির্মাণ, কবরস্থান ও ঈদগাহের সংস্কার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণ, যুবদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে একটি আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা।